কলকাতা, 24 সেপ্টেম্বর: আলিপুর চিড়িয়াখানার আজ 150তম বছর পূর্তি উদযাপন হল ৷ দিনটিকে স্মরণে রেখে এবছর থেকেই চিড়িয়াখানার কর্মীদের জন্য বিশেষ বিমার ব্যবস্থা করছে রাজ্যের বনদফতর ৷ অবসরকালীন সময়ে চিড়িয়াখানার প্রত্যেক কর্মীকে পাঁচ লাখ টাকার বিমা দেবে রাজ্য সরকার ৷ মঙ্গলবার আলিপুর চিড়িয়াখানার 150 বছরের অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ৷
তিনি বলেন, রাজ্যের প্রতিটি চিড়িয়াখানার কর্মীরা পাঁচ লাখ টাকা বিমা পাবেন ৷ আগামী অক্টোবর মাস থেকে এই প্রকল্প শুরু হবে ৷ আলিপুর চিড়িয়াখানার যে সমস্ত কর্মীরা পশু-পাখির খাঁচার ভিতর গিয়ে, তাঁদের লালন-পালন ও খাবার পরিবেশন করেন এবং অন্যান্য কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন, তাঁদের প্রত্যেকের এককালীন 5 লাখ টাকা দেওয়া হবে ৷ যদি, অন্যান্য বিমাও তিনি পেয়ে থাকেন, তা সত্ত্বেও অবসরকালীন সময়ে ওই কর্মী এই প্রকল্পের আওতায় পড়বেন ৷"
অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, "আনন্দের সঙ্গে জানাই, গত কয়েকদিন আগে 3টি নতুন প্রাণী আমাদের চিড়িয়াখানায় পেয়েছি ৷ 6 মাসে আগে আর একটা নতুন প্রাণী পেয়েছি আমরা ৷ তার মধ্যে, সুন্দর ছোট্ট 4টি প্রাণী মাউস ডিয়ার ও মালায়ন টাপির পেয়েছি ৷ এই মুহূর্তে ভারতের অন্য কোনও চিড়িয়াখানায় মালায়ন টাপির নেই ৷ এই সবক’টা প্রাণীকে দত্তক নিয়েছেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ৷ পরিবারের সদস্য ও বাবার স্মৃতিতে দত্তক নিয়েছেন মন্ত্রী ৷"
ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির মেম্বার তথা সেক্রেটারি সৌরভ চৌধুরী বলেন, "1875 সালের 24 সেপ্টেম্বর আলিপুর চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠা হয় ৷ বছরভর নানা কর্মসূচি চলবে ৷ নতুন প্রাণী, বিজ্ঞান আলোচনা, কর্মশলা চলবে ৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অতিথিরা আসবেন ৷ প্রাণী ও চিড়িয়াখানা নিয়ে আলোচনা করবেন ৷ আমাদের প্রায় 120 বেশি অ্যানিমেল এনক্লোজার আছে ৷ 150 বেশি স্পিসিস আছে ৷ 2000-এর বেশি প্রাণী আছে ৷ 38 লাখ ভিজিটর আসে প্রতিবছর ৷ স্কুল, কলেজ থেকে বহু দর্শক আসেন ৷ রাজ্যের বনমন্ত্রী 4 টে প্রাণীকে দত্তক নিয়েছেন ৷"
রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম আজকের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন ৷ ফিরহাদ বলেন, "বড় হয়ে মন খারাপ হলে আলিপুর চিড়িয়াখানায় আসা। ছোটবেলায় বাবা-মা'য়ের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় আসা ৷ সত্যিকারের চিড়িয়াখানায় আনন্দ পেতে হলে বর্ষার সময় আসুন ৷ পশু-পাখিরা আমাদের ওয়েলকাম করে ৷ বুড়ো বয়সে চিড়িয়াখানায় আসার সুযোগ পেলে আনন্দ পাই ৷ 150 বছর শুনলেই শিহরিত হই ৷ আমিও বহুবছর এই চিড়িয়াখানার সঙ্গে যুক্ত আছি ৷ এটা আনন্দের জায়গা ৷ কিন্তু, আমি 200 বছর দেখতে পাব না ৷"