ETV Bharat / state

ফেরিঘাট লিজ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা আত্মসাৎ, কাঠগড়ায় ভরতপুরের বিধায়ক

কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের কর্মীরাই ৷ যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন হুমায়ুন কবীর ৷ পালটা অভিযোগকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি ৷

MLA Humayun Kabir
হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 8, 2024, 2:49 PM IST

ভরতপুর (মুর্শিদাবাদ), 8 অক্টোবর: ফেরিঘাট লিজ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা আত্মস্যাৎ করার অভিযোগ উঠল ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে । সোমবার এই নিয়ে ভরতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় তিনটি গ্রামের ন'জন বাসিন্দা । যদিও বিধায়ক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তাঁর দাবি, তিনি কারও কাছ থেকে টাকা নেননি । অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর ।

সোমবার ভরতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন লোহাদহঘাট, জোরগাছি ও ভালুইপাড়া গ্রামের একাংশ । তাঁদের অভিযোগ, ভরতপুরের বিধায়ক একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাঁরা একবছর আগে বাবলা নদীর লোহাদহ গ্রামের ফেরিঘাট লিজ নেওয়ার জন্য তাঁর দ্বারস্থ হয়েছিলেন । এরপর 2023 সালের 3 জানুয়ারি তাঁরা বিধায়ককে 14 লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন । কিন্তু পরবর্তীতে ফেরিঘাটের লিজ পান অন্যজন ।

ভরতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের তৃণমূল কর্মীদের (ইটিভি ভারত)

অভিযোগকারীরা দাবি করেন, এরপর তাঁরা বারবার বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছেন টাকা ফেরতের জন্য । যদিও তারপর বিধায়ক 2023 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিন লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন । মার্চ মাসে আরও চার লক্ষ টাকা করে বিধায়কের দু’টি সই করা চেক অভিযোগকারীদের দেওয়া হয় । কিন্তু সেই টাকা তুলতে গেলে চেক বাউন্স করেছে বলে অভিযোগ ।

অভিযোগকারী তকবীর আলী শেখ বলেন, "আমরা ওই ফেরিঘাটের লিজ পেতে বিধায়কের দ্বারস্থ হয়ে 14 লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম । কিন্তু কাজ না হওয়ায় বারবার টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে ফিরে এসেছি । যে আট লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছিল সেটিও বাউন্স করেছে । এতদিন আজ নয় কাল করে ব্যাংকে টাকা ঢুকিয়ে দেব বলে আমাদের থামিয়ে রেখেছিলেন । টাকা না পেয়ে শেষে বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা । পাশাপাশি আমরা সকলে তৃণমূলের কর্মী ৷ তাই দলের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ৷"

MLA Humayun Kabir
থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা (নিজস্ব ছবি)

যদিও এমন ঘটনার কথা মনেই করতে পারলেন না বিধায়ক হুমায়ুন কবীর । তিনি বলেন, "আমি কোনোদিন কোনও দুর্নীতি করিনি । এমন ঘটনা মনেও করতে পারছি না । কারও কাছে কোনোদিন টাকাপয়সা নিইনি । যাঁরা এ ধরণের অভিযোগ করেছেন তাঁদের ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করতে হবে । আর চেক বাউন্স করেছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে সেটিও আমাকে খতিয়ে দেখতে হবে । চেকের কোনও ভুল ব্যবহার হয়েছে কি না সেটাও দেখা দরকার । এই ধরনের অভিযোগ যাঁরা করেছেন তাঁরা যদি, তা প্রমাণ না করতে পারেন, তাহলে ভুগতে হবে । যাঁরা আমার সম্মানহানি করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে পালটা ব্যবস্থাও নেব আমি ।"

ভরতপুর (মুর্শিদাবাদ), 8 অক্টোবর: ফেরিঘাট লিজ পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা আত্মস্যাৎ করার অভিযোগ উঠল ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে । সোমবার এই নিয়ে ভরতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন স্থানীয় তিনটি গ্রামের ন'জন বাসিন্দা । যদিও বিধায়ক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তাঁর দাবি, তিনি কারও কাছ থেকে টাকা নেননি । অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর ।

সোমবার ভরতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন লোহাদহঘাট, জোরগাছি ও ভালুইপাড়া গ্রামের একাংশ । তাঁদের অভিযোগ, ভরতপুরের বিধায়ক একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তাঁরা একবছর আগে বাবলা নদীর লোহাদহ গ্রামের ফেরিঘাট লিজ নেওয়ার জন্য তাঁর দ্বারস্থ হয়েছিলেন । এরপর 2023 সালের 3 জানুয়ারি তাঁরা বিধায়ককে 14 লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন । কিন্তু পরবর্তীতে ফেরিঘাটের লিজ পান অন্যজন ।

ভরতপুর থানায় অভিযোগ দায়ের তৃণমূল কর্মীদের (ইটিভি ভারত)

অভিযোগকারীরা দাবি করেন, এরপর তাঁরা বারবার বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছেন টাকা ফেরতের জন্য । যদিও তারপর বিধায়ক 2023 সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিন লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন । মার্চ মাসে আরও চার লক্ষ টাকা করে বিধায়কের দু’টি সই করা চেক অভিযোগকারীদের দেওয়া হয় । কিন্তু সেই টাকা তুলতে গেলে চেক বাউন্স করেছে বলে অভিযোগ ।

অভিযোগকারী তকবীর আলী শেখ বলেন, "আমরা ওই ফেরিঘাটের লিজ পেতে বিধায়কের দ্বারস্থ হয়ে 14 লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম । কিন্তু কাজ না হওয়ায় বারবার টাকা ফেরত চাইতে গিয়ে ফিরে এসেছি । যে আট লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছিল সেটিও বাউন্স করেছে । এতদিন আজ নয় কাল করে ব্যাংকে টাকা ঢুকিয়ে দেব বলে আমাদের থামিয়ে রেখেছিলেন । টাকা না পেয়ে শেষে বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা । পাশাপাশি আমরা সকলে তৃণমূলের কর্মী ৷ তাই দলের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি ৷"

MLA Humayun Kabir
থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসীরা (নিজস্ব ছবি)

যদিও এমন ঘটনার কথা মনেই করতে পারলেন না বিধায়ক হুমায়ুন কবীর । তিনি বলেন, "আমি কোনোদিন কোনও দুর্নীতি করিনি । এমন ঘটনা মনেও করতে পারছি না । কারও কাছে কোনোদিন টাকাপয়সা নিইনি । যাঁরা এ ধরণের অভিযোগ করেছেন তাঁদের ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করতে হবে । আর চেক বাউন্স করেছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে সেটিও আমাকে খতিয়ে দেখতে হবে । চেকের কোনও ভুল ব্যবহার হয়েছে কি না সেটাও দেখা দরকার । এই ধরনের অভিযোগ যাঁরা করেছেন তাঁরা যদি, তা প্রমাণ না করতে পারেন, তাহলে ভুগতে হবে । যাঁরা আমার সম্মানহানি করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে পালটা ব্যবস্থাও নেব আমি ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.