পূর্ব বর্ধমান, 7 ফেব্রুয়ারি: বাড়ির বারান্দায় পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পেলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মেমারি হাসপাতালে পায়ের এক্স-রে করতে গিয়েও মিলল না পরিষেবা। ওপিডির সময় ছাড়া এক্স-রে করার জন্য হাসপাতালে কেউ থাকেন না। ফলে মন্ত্রীর পায়ের এক্স-রে করা যায়নি। তিনি জানান, এটা তাঁর জানা ছিল না। তাই অবাক হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন।
এমনিতেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। কলকাতা থেকে জেলার হাসপাতাল সর্বত্র একই চিত্র। বিশেষ করে সময় পেরিয়ে গেলেও বেশ কিছু জায়গায় চিকিৎসকের অভাবে বহির্বিভাগ খোলা হয় না বলে অভিযোগ। আবার কোনও কোনও জায়গায় বহির্বিভাগ খোলা হলেও চিকিৎসকের দেখা মেলে না।
বেশিরভাগ জায়গায় জুনিয়র চিকিৎসক দিয়ে পরিষেবা চালু রাখা হয়। কোথাও বন্ধ ওষুধের বিতরণের ঘর, কোথাও এক্স-রে মেশিন খারাপ ৷ আবার কোথাও এক্স-রে মেশিন ঠিক থাকলেও কর্মী না আসায় তা বন্ধই থাকে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নজরে এসেছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের। শুধু তাই নয়, কয়েকমাস আগে উত্তর 24 পরগনার অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সুপারের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন সেখানকার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। জেলা হাসপাতালের থেকেও খারাপ অবস্থা ব্লক হাসপাতালগুলিতে। অভিযোগ, সেখানে বেশিরভাগ সময়েই সঠিকভাবে মেলে না চিকিৎসা পরিসেবা।
এবার এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী রইলেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। বাড়ির বারান্দায় পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছেন তিনি। রাতের দিকে মেমারি ব্লক হাসপাতালে গিয়েছিলেন পায়ের এক্স-রে করাতে। মন্ত্রীকে জানানো হয় ওপিডির সময় ছাড়া এক্স-রে করার জন্য হাসপাতালে কোনও কর্মী থাকেন না। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী বিরক্তি প্রকাশ করেন। ফলে হাসপাতালে তাঁর পায়ের এক্স-রে করা যায়নি। তিনি বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আনার আশ্বাস দেন। ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন," বারান্দায় পড়ে গিয়ে ডান পায়ে চোট পেয়েছি। চিকিৎসক এক্স রে করাতে বললেন। কিন্তু এক্স রে করার পদ্ধতি আছে শুনছি ৷ কর্মীরা শুধু ওপিডির সময়ে আসেন। অন্য সময়ে তাঁরা থাকেন না। এটা আমার জানা ছিল না। বিষয়টি সরকারি স্তরে জানাব ৷"
আরও পড়ুন: