কলকাতা, 7 এপ্রিল: লোকসভা নির্বাচন কার্যত শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই সময় যাতে কোনওভাবে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না-হয় তার জন্য বদ্ধপরিকর লালবাজার। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রতিটি থানার অ্য়ান্টি রাউডি গুন্ডা দমন অফিসারের ব্যবহৃত রাফ রেজিস্টার (এলাকার অপরাধীদের বিবরণ লেখা থাকে যেখানে) চেয়ে পাঠাল লালবাজার।
অতি সম্প্রতি কলকাতা পুলিশে একটি নতুন ডিভিশন যুক্ত হয়েছে। তা হল ভাঙড় ডিভিশন। ইতিমধ্যেই লালবাজারের হাতে এসেছে উত্তর কাশীপুর থানা ভেঙে উত্তর কাশীপুর, পোলেরহাট এবং ভাঙড় থানা ভেঙে ভাঙড় ও চন্দনেশ্বর থানা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই প্রতিটি থানার অ্যান্টি রাউডি গুন্ডা দমন অফিসারদের রাফ রেজিস্ট্রার চেয়ে পাঠালো লালবাজার। মূলত ওই এলাকা এত উত্তপ্ত ফলে ওই এলাকায় কোন কোন দুষ্কৃতী বর্তমানে কোথায় কোথায় রয়েছে এবং তাদের গতিবিধি কী, তা লোকসভা নির্বাচনের আগে জেনে রাখতেই এই পদক্ষেপ কলকাতা পুলিশের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ইটিভি ভারতকে বলেন, "সময় থাকতে আগে থেকেই এলাকায় আল হাকিকত জেনে তবেই আইন-শৃঙ্খলা ঠিকঠাক রাখা যায়। আর এর জন্যই এই প্রয়াস। মূলত রাফ রেজিস্টারগুলি খতিয়ে দেখবেন কলকাতা পুলিশ গুন্ডা দমন শাখার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সেই মতোই তারা থানা গুলিকে গাইড করতে পারবেন ৷"
সম্প্রতি রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে, বারবার অশান্ত হয়েছে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়। হিংসায় শুধু ভাঙড়েই প্রাণ গেছে সাত জনের। জানা গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বের শেষ দিন ভাঙড়ে তিন জন খুন হন। পঞ্চায়েত ভোটের দিনও ভাঙড়ে খুন হন তিন জন। ভোট গণনার রাতেও বোমা-গুলিতে রণক্ষেত্রের নেয় ওই এলাকা।
গত 26 জুন কলকাতা পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে ভাঙড়কে কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত করার জন্য কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বারুইপুর পুলিশ জেলার কাশীপুর থানা ভেঙে উত্তর কাশীপুর ও পোলেরহাট এবং ভাঙড় থানা ভেঙে ভাঙড় ও চন্দনেশ্বর থানা নিয়ে শুরু হবে কলকাতা পুলিশের নতুন ডিভিশন।
আরও পড়ুন: