ছাতনা, 24 নভেম্বর: এক চিলতে ভাড়া ঘর থেকে নাসা পাড়ি ৷ চাঁদ সম্পর্কিত বিশেষ প্রকল্পে সাফল্য ৷ স্বপ্নপূরণ বাঁকুড়ার বেসরকারি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের ৷ তবে বিদেশে নয়, দেশেই কাজ করতে চায় অয়ন ৷
বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের অন্তর্গত মন্তমড়া গ্রামের বাসিন্দা অয়ন দেঘুরিয়া । বাবা কল্যাণাশিস দেঘুরিয়া পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী ৷ মা শিপ্রা দেঘুরিয়া গৃহবধূ । প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করে ছেলের পড়াশুনোর সমস্যা হওয়ায় বাঁকুড়া শহরে বাড়ি ভাড়া করে থাকেন কল্যাণাশিসবাবু ৷ ছোটবেলা থেকেই মেধাবী অয়নের পড়াশোনার পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য মহাজাগতিক বিষয় সম্পর্কে ধ্যান ধারণা ছিল স্পষ্ট । বেশ কয়েকমাস আগে আমেরিকার বিখ্যাত মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-তে 'ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রাম 2024'-এ অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায় অয়ন ।
নাসা পাড়ি দিতে যে খরচ তা পরিবারের পক্ষ থেকে দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় ক্ষণিকের জন্য হলেও মন ভেঙে পড়েছিল তার ৷ সেই সময় পাশে দাঁড়ায় একটি বেসরকারি সংস্থা । অয়নের আমেরিকার যাত্রার পুরো খরচই তারা দিয়েছিল । অদম্য ইচ্ছে অয়নকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দেয় । 'লুনার প্রোজেক্ট'-র জন্য তার তৈরি মেটেরিয়াল গ্রহণ করেছে নাসা ৷ ছেলের এই সাফল্যে খুশির হাওয়া বাঁকুড়ার বাড়িতে ।
অয়ন জানায়, আগামী দিনে নিজের দেশের হয়ে যাবতীয় কাজ করতে চায় সে । শিক্ষার জন্য বিদেশে গেলেও দেশের মাটিতে থেকে দেশের জন্য কাজ করার স্বপ্ন রয়েছে তাঁর ৷ ছেলের সাফল্যে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বাবা ৷ মায়ের মুখেও খুশির হাসি ৷ বাবা-মায়ের কথায়, "ছোট থেকেই মহাকাশ নিয়ে ওর প্রবল আগ্রহ ৷ নিজের ইচ্ছেতেই ও এতদূর এগিয়েছে ৷ বাবা-মা হিসেবে আমরা যতটা পাশে থাকার থেকেছি ৷ ওর সাফল্যে আমরা ভীষণ খুশি ৷"