কলকাতা, 29 এপ্রিল: সন্দেশখালিকাণ্ডে শেখ শাহজাহান-সহ তার চার অনুগামীকে সোমবার আদালতে পেশ করা হয় ৷ আলমগীর ও দিদার বক্স মোল্লা এবং শিবু হাজরা আর সন্দেশখালি কাণ্ডের 'বেতাজ বাদশা'কে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা। ব্যাঙ্কশাল আদালত এদিন নির্দেশ দেয় আগামী 13 মে পর্যন্ত শাহজাহান থাকবে জেল হেফাজতে ৷
পাশাপাশি সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে শেখ শাহজাহানের জামিন নাকচ করার চেষ্টা করা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের দাবি, শেখ শাহজাহান বিশেষ একটা মুখ খুলতে চাইছে না এবং আলমগীরও এই বিষয়ে একেবারেই তদন্তকারীদের সহযোগিতা করছে না। ফলে তাদের ফের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা শেখ শাহজাহানের কাছ থেকে জানতে চান, সম্প্রতি উত্তর 24 পরগনার সরবেড়িয়ায় যে একটি বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেই ঘটনায় কীভাবে যোগ রয়েছে শেখ শাহজাহানের?
আর সে প্রশ্নে একেবারে চুপ ছিলেন সন্দেশখালির 'মাস্টারমাইন্ড' ৷ এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁদের জমি কার্যত বলপূর্বকভাবে শাহজাহান এবং তার অনুগামীরা নিজেদের নামে লিখিয়েছিল তা অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে ফেরত দিতে হবে ৷ সেই ঘটনায় রাজ্য সরকারের তদন্তকারী দল এখনও পর্যন্ত কত পরিমাণ জমি স্থানীয় বাসিন্দাদের ফেরত দিয়েছে সেই বিষয়ও জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্দেশখালিতে তল্লাশি অভিযানে যায় সিবিআই। শাহজাহানের এক ঘনিষ্ঠের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু কার্তুজ, আগ্নেয়াস্ত্র, বোমাবারুদ। অস্ত্র পেয়ে এনএসজিকে খবর দেয় সিবিআই। বেশকিছু বন্দুক, কার্তুজ এবং একাধিক স্লিপ পায় সিবিআই। সেই স্লিপে শাহজাহানের নাম ছিল। আপাতত সন্দেশখালিতে সিবিআইয়ের এই অস্ত্র উদ্ধার অভিযান নিয়ে মুখে কুলুপ শাহজাহানের।
আরও পড়ুন: