জিরাট, 21এপ্রিল: "তৃণমূলের মধ্যে বিজেপির লোক ঢুকে রয়েছে", বললেন ক্ষুব্ধ বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ৷ হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারসভায় তাঁকে অপমানিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী ৷ বিতর্কের সূত্রপাত শনিবার সন্ধ্যায় হুগলির এক্তারপুরের বকুলতলায় দলীয় সভা থেকে ৷ সেখানে তিনি মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কী, তা সাধারণ মানুষকে বোঝাচ্ছিলেন ৷ বিধায়কের অভিযোগ, তিনি সিএএ এনআরসি নিয়ে বলার সময় মাঝপথেই তাঁকে থামিয়ে দেওয়া হয় ৷ মঞ্চে তখন বলাগড় ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব, হুগলি যুব তৃণমূল নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন ৷ এরপর মঞ্চ থেকে নেমে মনোরঞ্জন ব্যাপারী সোজা জিরাটে তাঁর বিধায়ক অফিসে চলে আসেন ৷ এ বিষয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, "আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি ৷"
ক্ষুব্ধ মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, "মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনী প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলাগড়ে আসছেন ৷ এটা শুনে আমি খারাপ শরীর নিয়ে সেই বৈঠকে গিয়েছিলাম ৷ বকুতলায় এই সভা ছিল ৷ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসতে দেরি ছিল ৷ আমি মঞ্চেই বসেছিলাম ৷ আমাকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য বলা হল ৷ আমি বক্তব্য শুরু করে মাত্র কয়েক মিনিট বলতে পেরেছি ৷" তারপরই তাঁকে থামিয়ে দেওয়া হয় ৷ বিধায়ক বলেন, "আমি সিএএ ব্যাখ্যা করে বোঝাচ্ছিলাম ৷ এতে কী ক্ষতি হতে পারে বোঝাচ্ছিলাম ৷ আমার মনে হয়, সম্ভবত যারা চায় বিজেপির ক্ষতি হোক, এটা চায় না, তারা আমার বক্তব্য মাঝপথে থামিয়ে দিল ৷"
যাঁরা মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বক্তব্য থামিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা তৃণমূলেরই ? এর উত্তরে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "হ্যাঁ, আমার দলের মধ্যেই বিজেপির লোকজন ঢুকে বসে আছে ৷ তারা দেখছে যে আমি যে কথা বলছি, তাতে বিজেপির ভোট কমে যাবে ৷ তাই আমার বক্তব্যের মাঝপথে মাত্র কয়েক মিনিট বলার পরেই আমায় থামিয়ে দিল ৷ তখন মাইক ফেলে দিয়ে নীচে নেমে চলে এসেছি ৷"
আরও পড়ুন: