ETV Bharat / state

এপারে আশ্রয় পেতে সীমান্তে ভিড়, বাংলাদেশের নির্যাতিতদের অভয় দিচ্ছে আওয়ামী লীগ - BANGLADESH UNREST

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 11, 2024, 1:36 PM IST

Bangladesh Unrest: অশান্ত বাংলাদেশের নির্যাতিতরা সীমান্ত পেরিয়ে এপারে আসতে গেলে তাঁদের আটকানো হচ্ছে ৷ তাঁদের একজোট করে অভয় দিচ্ছে আওয়ামী লীগ । আশ্বাস পেয়ে মিছিলেও সামিল হয়েছেন নির্যাতিতরা ৷

ETV BHARAT
বাংলাদেশের নির্যাতিতদের অভয় দিচ্ছে আওয়ামী লীগ (নিজস্ব চিত্র)

জলপাইগুড়ি, 11 অগস্ট: শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের জেরে অশান্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতিত হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ নিরাপত্তাহীনতায় তাঁরা ভারতে আশ্রয় নিতে চাইছেন । তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তাঁদের বিএসএফ-এর বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে ৷ এই অবস্থায় তাঁদের ভরসা জোগাচ্ছেন ওপার বাংলায় এই মুহূর্তে প্রবল অস্বস্তিতে থাকা আওয়ামী লীগ ৷ তারা ফের একজোট হয়ে অভয় দিচ্ছে সংখ্যালঘুদের ৷

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন । তাদেরই প্রচেষ্টায় ভয় ভুলে একজোট হয়ে মিছিল পর্যন্ত করেছেন 'নির্যাতিতদের' একাংশ । ভারতে আশ্রয় পাওয়ার আশায় ওপার বাংলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা জলপাইগুড়ি জেলার ধরধুরায় চলে এসেছিলেন । তবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ফের ওপারে ফেরানো হয় । পরদিনই ফের সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের নাগরিকরা আসার চেষ্টা করলে, সেখানে তাঁদের আটকে দেওয়া হয় ।

তখনই তাঁরা ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন ৷ বলেছেন যে, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতায় থাকার ব্যাপার নেই । এলাকার সংখ্যালঘুদের নিয়ে মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ । জলপাইগুড়ি জেলার ওপাশে পঞ্চাগড় জেলায় মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতারা ওপার বাংলার সংখ্যালঘুদের ভয় কাটাতে সচেষ্ট হন ৷

বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার চানপাড়ার বাসিন্দা ধনপতি রায় বলেন, "আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি । এখানে রাস্তাঘাট আটকে দিচ্ছে । আমাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে । বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘর ভাঙছে । যাঁরা ব্যবসা বাণিজ্য করেব, তাঁদের কাছে চাঁদা চাইছেন আন্দোলনকারীরা । যাঁদের গোডাউনে লক্ষ লক্ষ টাকার মালপত্র থাকে, তাঁদের বলা হচ্ছে - টাকা দিন নাহলে গোডাউন জ্বালিয়ে দেওয়া হবে । আওয়ামি লিগের লোকের উপর আক্রমণটা বেশি হচ্ছে । আমরা এখন একজোট হয়ে আছি । কখন কী হয় বলতে পারছি না ।"

বাংলাদেশের কাগজদিঘি, বাগডোগরা, কালিয়াগঞ্জ, বোয়ালমারি, বারুনি ঘাটের সীমান্ত থেকে আসা লোকেদের আটকে দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা সীমান্ত এলাকায় আসতে না পারেন । দেবীগঞ্জ এলাকাতেও এমন লোকেদের আটকানো হচ্ছে । সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিএনপি জামাতের লোকেরাও তাঁদের আটকাচ্ছেন । বোঁদা, ঠাকুরগা, গরেয়া এলাকাতেও মানুষের ঢল নেমেছে । যে সংখ্যালঘুরা দেশ ছাড়ার কথা ভাবছিলেন, সেখানেই তাঁরা সহস সঞ্চয় করে একত্রিত হয়ে মিছিল করেছেন । ফলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারহীন এলাকা দিয়ে এপারে আসার ভাবনা থেকে সরে আসছেন অনেকে ৷

গতকাল থেকেই রাধাবাড়ি সেক্টরের বিএসএফের জওয়ানরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে । বিএসএফ 93নং ব্যাটেলিয়ানের পক্ষ থেকে বিরাট বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । বিএসএফ-এর আধিকারিকরা সীমান্তে রয়েছেন । কোনও ভাবেই যাতে সীমান্তে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না-পারে, সেই কারণে সদা সতর্ক রয়েছে বিএসএফ । বিএসএফ-এর রাধাবাড়ি সেক্টর সূত্রে জানানো হয়েছে, সীমান্তে নতুন করে আর কেউ আসেনি ৷ শান্তিপূর্ণ রয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকা ।

জলপাইগুড়ি, 11 অগস্ট: শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের জেরে অশান্ত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতিত হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ নিরাপত্তাহীনতায় তাঁরা ভারতে আশ্রয় নিতে চাইছেন । তবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তাঁদের বিএসএফ-এর বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে ৷ এই অবস্থায় তাঁদের ভরসা জোগাচ্ছেন ওপার বাংলায় এই মুহূর্তে প্রবল অস্বস্তিতে থাকা আওয়ামী লীগ ৷ তারা ফের একজোট হয়ে অভয় দিচ্ছে সংখ্যালঘুদের ৷

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন । তাদেরই প্রচেষ্টায় ভয় ভুলে একজোট হয়ে মিছিল পর্যন্ত করেছেন 'নির্যাতিতদের' একাংশ । ভারতে আশ্রয় পাওয়ার আশায় ওপার বাংলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা জলপাইগুড়ি জেলার ধরধুরায় চলে এসেছিলেন । তবে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ফের ওপারে ফেরানো হয় । পরদিনই ফের সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের নাগরিকরা আসার চেষ্টা করলে, সেখানে তাঁদের আটকে দেওয়া হয় ।

তখনই তাঁরা ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন ৷ বলেছেন যে, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাহীনতায় থাকার ব্যাপার নেই । এলাকার সংখ্যালঘুদের নিয়ে মিছিল বের করে আওয়ামী লীগ । জলপাইগুড়ি জেলার ওপাশে পঞ্চাগড় জেলায় মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতারা ওপার বাংলার সংখ্যালঘুদের ভয় কাটাতে সচেষ্ট হন ৷

বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার চানপাড়ার বাসিন্দা ধনপতি রায় বলেন, "আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি । এখানে রাস্তাঘাট আটকে দিচ্ছে । আমাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে । বিভিন্ন জায়গায় বাড়িঘর ভাঙছে । যাঁরা ব্যবসা বাণিজ্য করেব, তাঁদের কাছে চাঁদা চাইছেন আন্দোলনকারীরা । যাঁদের গোডাউনে লক্ষ লক্ষ টাকার মালপত্র থাকে, তাঁদের বলা হচ্ছে - টাকা দিন নাহলে গোডাউন জ্বালিয়ে দেওয়া হবে । আওয়ামি লিগের লোকের উপর আক্রমণটা বেশি হচ্ছে । আমরা এখন একজোট হয়ে আছি । কখন কী হয় বলতে পারছি না ।"

বাংলাদেশের কাগজদিঘি, বাগডোগরা, কালিয়াগঞ্জ, বোয়ালমারি, বারুনি ঘাটের সীমান্ত থেকে আসা লোকেদের আটকে দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা সীমান্ত এলাকায় আসতে না পারেন । দেবীগঞ্জ এলাকাতেও এমন লোকেদের আটকানো হচ্ছে । সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিএনপি জামাতের লোকেরাও তাঁদের আটকাচ্ছেন । বোঁদা, ঠাকুরগা, গরেয়া এলাকাতেও মানুষের ঢল নেমেছে । যে সংখ্যালঘুরা দেশ ছাড়ার কথা ভাবছিলেন, সেখানেই তাঁরা সহস সঞ্চয় করে একত্রিত হয়ে মিছিল করেছেন । ফলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারহীন এলাকা দিয়ে এপারে আসার ভাবনা থেকে সরে আসছেন অনেকে ৷

গতকাল থেকেই রাধাবাড়ি সেক্টরের বিএসএফের জওয়ানরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে । বিএসএফ 93নং ব্যাটেলিয়ানের পক্ষ থেকে বিরাট বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । বিএসএফ-এর আধিকারিকরা সীমান্তে রয়েছেন । কোনও ভাবেই যাতে সীমান্তে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না-পারে, সেই কারণে সদা সতর্ক রয়েছে বিএসএফ । বিএসএফ-এর রাধাবাড়ি সেক্টর সূত্রে জানানো হয়েছে, সীমান্তে নতুন করে আর কেউ আসেনি ৷ শান্তিপূর্ণ রয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.