কলকাতা, 22 অগস্ট: খামখেয়ালি আবহাওয়ার প্রত্যেক মুহূর্তই কৃষিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে । কখনও অতিবৃষ্টি, কখনও খরা - চিন্তায় ফেলেছে কৃষি দফতরকে । এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে অস্ট্রেলিয়া । বৃহস্পতিবার নবান্নে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার ফিলিপ গ্রিন ওয়ামিনের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল এই নিয়ে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন । এই বৈঠকে দুই দেশ যৌথভাবে কৃষিক্ষেত্রে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা করেছে ।
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়া এবং রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে যৌথভাবে কাজ করার ঘটনা এই প্রথম নয় ৷ ইতিমধ্যেই তাঁদের অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ বা এসিআইএআর প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের চার জেলায় কাজ করছে এই দেশ । উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে । মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে তারা রাজ্য সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে । শুধু তাই নয়, কৃষিক্ষেত্রে যুক্ত মহিলাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রেও এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে । চার জেলা মিলে 30 হাজার হেক্টর জমিতে প্রকল্প চলছে ।
এদিন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে কৃষিক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কী ধরনের সাহায্য পাওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে আমাদের মধ্যে মূলত আলোচনা হয়েছে । অস্ট্রেলিয়ান প্রতিনিধি দল রাজ্য সরকারের কৃষির অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন । যেভাবে এই সরকারের আমলে প্রতিক্ষেত্রে কৃষকদের সুরক্ষার দিকটি সুনিশ্চিত করা হয়েছে তারও প্রশংসা শোনা গিয়েছে এই প্রতিনিধি দলের গলায় ।"
তিনি এও জানান, এই প্রকল্পে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে যে কাজ চলছে, তাতে রাজ্য সাফল্যও পেয়েছে । প্রকল্পের সফল রূপায়ণের ফলে ওই এলাকাগুলিতে ফসলের উৎপাদনশীলতা চার থেকে ছয় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে । কৃষকদের আয়ও বেড়ে হচ্ছে 15 থেকে 40 শতাংশ । এনার্জি এফিশিয়েন্সি ও বেটার নিউট্রিয়েন্ট এফিশিয়েন্সি লক্ষ্য করা গিয়েছে । একইসঙ্গে, উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে জ্বালানির ব্যবহার । এর পরিমাণ 70 থেকে 80 শতাংশ । ফলে দূষণের মাত্রাও কমেছে ওই এলাকায় ।