শান্তিপুর, 18 এপ্রিল: আগামী 13 মে অর্থাৎ চতুর্থ দফায় রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন ৷ এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার পড়লেন বিপাকে ৷ বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হল ৷ বেশ খানিকক্ষণ ধরে তাঁর গাড়িও আটকে রাখা হল ৷ পালটা মারধর করার অভিযোগ ওঠে জগন্নাথ সরকারের নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী ৷
জানা গিয়েছে, লিজ নেওয়া পুকুরকে কেন্দ্র করে প্রাক্তন সাংসদ জগন্নাথ সরকারের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, জগন্নাথ সরকারের বাড়ির পাশের গ্রাম নিমতলা এলাকায় দীর্ঘ 15 বছর আগে সেখানকার বাসিন্দা কুশ মুণ্ডার কাছ থেকে কিছু জমি লিজ নেন বিজেপি নেতা। সেই জমি লিজ নেওয়ার পর জগন্নাথ সরকার সেখানে মাটি কেটে পুকুর তৈরি করে মাছ চাষ করতেন। মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুরের চারপাশে কিছু গাছ লাগিয়েছিলেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরে লিজ নেওয়ার মেয়াদ নিয়ে কুশ মুণ্ডার পরিবারের সঙ্গে জগন্নাথ সরকারের কিছু সমস্যা চলছিল।
জগন্নাথ সরকারের দাবি, এখনও সময়সীমা অতিক্রান্ত করতে বেশ কয়েক মাস রয়েছে। কিন্তু কুশ মুণ্ডার পরিবারের দাবি, 15 বছরের যে সময়সীমা ছিল তা সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কিছুদিন ধরেই জগন্নাথ সরকার পুকুরের চারপাশে যে গাছ লাগিয়েছিল সেই গাছ কাটছিলেন তিনি। আজ হঠাৎ কুশ মুণ্ডা তাঁর পুকুরে যাতায়াতের রাস্তাটি ঘিরে ফেলছিল। ঠিক সেই সময় জগন্নাথ সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপরই শুরু হয় দু'পক্ষের বচাসা।
জগন্নাথ সরকারের অভিযোগ, হঠাৎ কুশ মুণ্ডার দুই ছেলে এবং আরও তিনজন তৃণমূলের দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ির উপর আক্রমণ করে। ভাঙচুর করে তাঁর গাড়ি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার পুলিশ গেলে অবশেষে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। অন্যদিকে, কুশ মুণ্ডার পরিবারের অভিযোগ, জগন্নাথ সরকারের নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁদেরকে মারধর করে। যদিও এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই পুকুর চাষ করতেন জগন্নাথ সরকার। তিনি নিজেই ওই গাছগুলি লাগিয়েছিলেন। সেই গাছ তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাটতেন। তবে মেয়াদ শেষ নিয়ে কী ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তাঁদের জানা নেই। পুরো বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: