আসানসোল, 28 জুন: আগামী সাতদিনের মধ্যে জমির দলিল, বিল্ডিং প্ল্যান ও হোল্ডিং ট্যাক্সের কাগজ জমা দিতে আরএসএসকে নোটিশ পাঠাল আসানসোল পুরনিগম । মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, যদি সঠিক বিল্ডিং প্ল্যান না-থাকে কিংবা অন্যান্য নথি না-থাকে, তাহলে আইনানুগ পথে হাঁটবে আসানসোল পুরনিগম । প্রয়োজনে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হবে ।
আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় শুক্রবার জানিয়েছেন, "মানুষের ভালোর জন্য আমরা সব কিছু করতে প্রস্তুত । যদি ওই ভবনের বিল্ডিং প্ল্যান না-থাকে আর পুকুর বুজিয়ে ভবনটি তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে আইনানুগ ভাবেই ভবনটি ভেঙে ফেলা হতে পারে ।"
বেশ কয়েক বছর আগে আসানসোলের ধাদকা এলাকায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এই ভবনটি তৈরি হয়েছিল । এই ভবন থেকে কার্যত গোটা মহকুমায় আরএসএসের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রিত হত । জাতীয় স্তরের বহু নেতা এই ভবনে এসেছেন । এমনকী কয়েক বছর আগে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও এসেছেন এই দফতরে । বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে মন্তব্য করেন, আসানসোলে পুকুর ভরাট করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ভবন তৈরি হয়েছে । আর তারপরেই প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয় ।
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের এই ভবনে যান আসানসোল পৌরনিগমের পৌরকর্তারা । সঙ্গে ছিলেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব বিভাগের আধিকারিকরা । এছাড়াও ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের আধিকারিকরা । তাঁরা যথাযথ নথি দেখতে চান আরএসএস নেতাদের কাছে । ঘরের দলিল, ভবন তৈরির প্ল্যান এবং আসানসোল পৌরনিগমের ট্যাক্সের কাগজ তাঁরা দেখতে চান । কিন্তু আরএসএসের কেউ নথি দেখাতে পারেননি ।
আরএসএসের লিগাল সেলের নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী পীযুষকান্তি গোস্বামী জানান, কয়েকদিন সময় পেলে তাঁরা সমস্ত নথি দেখাবেন । এরপরেই শুক্রবার আসানসোল পুরনিগমের পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করা হয় । আগামী সাতদিনের মধ্যে ওই আরএসএস অফিসের জমির দলিল, বিল্ডিং প্ল্যান, হোল্ডিং ট্যাক্স-সহ 6টি নথি জমা করতে বলা হয়েছে । জানা গিয়েছে, 2004 সালে এই ভবনটি তৈরি হয় । তিনতলা সুবিশাল এই কার্যালয় থেকে গোটা জেলার সংঘের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রিত হত ।
অন্যদিকে আইনজীবী পীযুষকান্তি গোস্বামী জানান, "সাতদিন সময় খুব কম । আমরা 15 দিন সময় পেলে সব নথিই জমা দেব । তবে পুকুর বুজিয়ে ভবন তৈরির অভিযোগ ভিত্তিহীন ।"