আসানসোল, 9 জানুয়ারি: টাওয়ার বসানোর নামে আসানসোল উত্তর থানা এলাকার এক বাসিন্দার কাছ থেকে 24 লক্ষ টাকার বেশি প্রতারণা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ । আসানসোল সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ আধিকারিকরা তদন্তে নেমে উত্তর 24 পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে দশ জনকে গ্রেফতার করেছে ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা রয়েছেন । ধৃতদের কাছ থেকে 20টি মোবাইল, দু’টি ল্যাপটপ, একটি ডায়েরি-সহ বিভিন্ন ভুয়ো নথি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ । ধৃতদের বৃহস্পতিবার আসানসোল আদালতে তোলা হয় । তবে আদালত কী নির্দেশ দিয়েছে, তা জানা যায়নি ৷
2023 সালে আসানসোল উত্তর থানায় ধীরেন মাজি নামে এক বাসিন্দা অভিযোগ দায়ের করেন মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় 24 লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে । প্রথমে আসানসোল উত্তর থানা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে । পরবর্তীকালে তথ্যপ্রযুক্তি দ্বারা এই ঘটনার তদন্তের কারণে মামলাটিকে আসানসোল সাইবার ক্রাইম থানায় পাঠানো হয় ।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (হেড কোয়ার্টার) অরবিন্দ আনন্দ বলেন, "আসানসোল সাইবার থানার পুলিশ মোবাইল টাওয়ার লোকেশন থেকে শুরু করে অন্যান্য নানা প্রযুক্তির মাধ্যমে এই প্রতারক গ্যাংটিকে চিহ্নিত করতে পারে । বুধবার উত্তর 24 পরগনার দমদম, শ্যামনগর, মধ্যমগ্রাম-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে 10 জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ । ধৃতদের মধ্যে দু’জন মহিলা রয়েছে । এই প্রতারক চক্রের মূল চক্রী সন্দীপ বারকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।"
যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের আরও অন্যান্য চক্রীদেরও ধরতে চাইছে পুলিশ । সেই কারণে শুক্রবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে তুলে পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হয় । তবে আদালত কী নির্দেশ দিয়েছে, তা জানা যায়নি ৷
অরবিন্দ আনন্দ আরও বলেন, "এই গ্যাংটি মূলত মোবাইলের সিরিয়াল নম্বর ধরে র্যান্ডমলি ফোন করতো এবং মানুষজনকে মোটা টাকা ভাড়ায় টাওয়ার বসানো এবং সেই টাওয়ারে একটি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখাতো । সেই প্রলোভনে পা দিয়ে মানুষজন এদেরকে টাকা দিতেন এবং এরা সেটা নিয়ে প্রতারণা করতো ।"
মোবাইল টাওয়ার বসানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠছিল বিভিন্ন এলাকা থেকে । এই চক্র পুলিশের হাতে আসার পর পুলিশ এটাকে বড় ধরনের সাফল্য মনে করছে এবং এই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে দাবি করেছে পুলিশ ।