মুরারই, 17 অক্টোবর: গরুর হাটের মাঠ থেকে ফের রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করলেন অনুব্রত মণ্ডল । বিজয়া সম্মিলনীর মধ্যে দিয়ে ব্লকে ব্লকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে ফিরলেন কেষ্ট ৷ এদিন, মুরারই 1 ব্লক থেকে শুরু হল তাঁর কর্মসূচি । বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির মুখে এদিন শোনা গেল শান্তির বার্তা ৷
গরুপাচার ও আর্থিক তছরুপের মামলায় জামিন পেয়ে দু'বছর পর বোলপুরে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল । 24 সেপ্টেম্বর তিনি বীরভূমের মাটিতে পা রাখেন ৷ তার পর থেকে দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত বসছেন ৷ অনুব্রত মণ্ডল ঘোষণা করেছিলেন, 17 অক্টোবর থেকে তিনি বিজয়া সম্মিলনী শুরু করবেন । মুরারই থেকে শুরু হবে এই সম্মিলনী । চলবে 30 অক্টোবর পর্যন্ত । যতটা পারবেন তিনি সেগুলিতে অংশ নেবেন ।
সেই কথা অনুযায়ী আজ মুরারইয়ের গরুর হাট মাঠে বিজয়া সম্মিলনীতে অংশগ্রহণ করলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল । তবে তিহাড় জেলফেরত অনুব্রত আর দু'বছর আগের অনুব্রত মণ্ডলের মধ্যে আজ অনেক অমিল লক্ষ্য করা গেল । অনুব্রতর সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা যে কর্মীদের কোনও দিনই ছিল না, সেই কর্মীরাই মঞ্চে বিশৃঙ্খলা করলেন । এমনকি, মঞ্চের নীচে কর্মীরা শৃঙ্খলা হারিয়ে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন । পরে তা সামাল দেওয়া হয় ৷ অন্যদিকে, সভায় অনুপস্থিত থাকলেন অনুব্রত মণ্ডলের যুযুধান হিসাবে পরিচিত বীরভূমের জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফৈজুল হক ওরফে কাজল শেখ । যদিও অনুব্রত এদিন সভামঞ্চ থেকেই কাজল শেখের খোঁজ নেন ।
মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, "আমরা কেউ নেতা নই, আমরা সবাই কর্মী । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে কাজ করুন ৷ মানুষের পাশে থাকুন, উন্নয়নের সঙ্গে থাকুন ৷ মারামারি ঝগড়াঝাঁটি করবেন না । এতে ভালো কোনও বার্তা যায় না ।"
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যে আর সেই আগের মতো ঝাঁঝ নেই ৷ আগে কেষ্ট'র বক্তব্য মানেই চটক, নিদান, বিতর্ক, হুঁশিয়ারি, হুমকির সুর থাকত ৷ এখন সেই অনুব্রতর গলায় শোনা গেল 'শান্তির বার্তা'।