কলকাতা, 24 নভেম্বর: ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শহরে ৷ রবিবার সকালেই উল্টোডাঙ্গা রেল লাইন লাগোয়া একটি তুলোর গুদামে আগুন লাগে ৷ সেখান থেকে আগুন গুদাম লাগোয়া বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে ৷ আগুনের গ্রাসে বস্তির একের পর এক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে খবর।
ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের 6টি ইঞ্জিন। প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা। ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, গিয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুন্ডু।
শীত পড়তেই যেন পাল্লা দিয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়ে চলেছে। জানা গিয়েছে, উল্টডাঙ্গা স্টেশন লাগোয়া একটি তুলোর গুদামে এদিন সকালে আগুন লাগে। সেখান মুহূর্তে আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। গুদাম লাগোয়া কলোনি বস্তিতে একের পর এক ঘর গ্রাস করে বিধ্বংসী আগুন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। পরুস্থিতি বুঝে পরে দমকলের আরও ইঞ্জিন এসে পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। দমকলের মোট 6টি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে। এখন ঠান্ডা করার প্রক্রিয়া ও কোথায় পকেট ফায়ার আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে দমকল।
স্থানীয়দের দাবি, তুলোর গুদামে রান্না চাপানো হয়েছিল। সেখান থেকে কোনও কারণে আগুন লাগে। মুহূর্তে কারখানায় আগুন ছড়িয়ে যায়। সেখান থেকে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পাঁচটি বেড়ার ঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গিয়েছে। আগুনে আরও সাতটি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উলটোডাঙ্গা ট্রাম ডিপো ও রেল লাইনের মাঝেই এই কলোনি বস্তি এলাকা।
দমকলের তরফে দাবি করা হয়েছে, রান্নার থেকেই আগুন লাগে। তবে ওই কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, কোনও ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির স্থানীয় কমিউনিটি হলে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ তাদের নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে ৷