ব্যারাকপুর, 5 জুলাই: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শুভদীপ ওরফে প্রসূন সরকার উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার 11 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। শুক্রবার নির্যাতিতা তরুণী ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও নির্যাতিতা অভিযুক্তকে কড়া শাস্তি দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ৷
তরুণীর কথায়, "দু'বছর ধরে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে । ভালোবেসে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৷ একই কারণে একাধিকবার সহবাস করেছে ৷ কিন্তু আচমকাই ওই কাউন্সিলর বিয়ে করতে অস্বীকার করে। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, শুভদীপ বিবাহিত। তার নাকি একটি সন্তানও রয়েছে ৷ আরও শুনেছি, এরকম অনেক মহিলার সঙ্গেই নাকি ওর সম্পর্ক রয়েছে। ওর পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তারা খারাপ ব্যবহার করে । কোনও কথাই শুনতে চায়নি। আমি ওর কঠোর শাস্তি চাই। তৃণমূল করলেই কী নোংরামি করা যায় নাকি? আমি এই প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে করতে চাই।"
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ৷ এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন ব্যারাকপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা মলয় ঘোষ। তিনি বলেন, "বিষয়টি আমার জানা নেই। সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম। শুভদীপকে ডেকে জানতে চাওয়া হবে বিষয়টি। যদি কেউ দোষ করে থাকে তাহলে আইন মেনে পদক্ষেপ হবে।"
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা এলাকায় পশুপ্রেমী হিসেবে পরিচিত। এছাড়া তাঁর একটি এনজিও-ও রয়েছে। যার মাধ্যমে মূলত রাস্তার অসুস্থ কুকুরদের সেবা-শুশ্রূষা করে সুস্থ করে তোলা হয়। সেই সূত্রে 2021 সালে ইছাপুরে একটি অসুস্থ কুকুরকে শুশ্রূষা করার জন্য ফোন করে ডেকে আনা হয় তাঁকে। তরুণীর দাবি, সেসময় তাঁকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন শুভদীপ।
সেখানে গেলে আলাপ হয় তাঁর সঙ্গে। ফোনে কথাবার্তা শুরু হয় । পাশাপাশি সোশাল মিডিয়ায় চ্যাটিংও হতে থাকে দু'জনের মধ্যে। সম্পর্ক যখন গভীর হতে শুরু করেছে তখনই তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন তৃণমূল কাউন্সিলর। এমনটাই দাবি নির্যাতিতার ৷ অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তরুণীর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন অভিযুক্ত কাউন্সিলর ৷ পরে বিয়ের কথা বললেই অভিযুক্ত কাউন্সিলর বিষয়টি অস্বীকার করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা তরুণী।