কলকাতা, 29 জুলাই: আন্তর্জাতিক টাইগার দিবসে দারুণ খবর আলিপুর চিড়িয়াখানায়। ওড়িশার নন্দনকানন থেকে আরও একটি বাঘ নিয়ে আসা হবে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। বাঘের সংখ্য়া বাড়াতে কর্তৃপক্ষের ভরসা এখন যৌবনের সজীবতা। প্রজননে সক্ষম বাঘ-বাঘিনী এনে চিড়িয়াখানা ভরতি করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ ৷
সূত্রের খবর, রাজ্য, কেন্দ্রীয় জু-অথরিটির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় জু অথরিটি সবুজ সংকেত পেলেই নন্দনকাননের বছর দেড়েকের ত্রুপ্তি'কে পাকাপাকিভাবে নিয়ে আসা হবে আলিপুরে। প্রজননের পাশাপাশি জিন ও বৈচিত্র্যেগত গুরুত্ব দিতে বাঘ নিয়ে নানা পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে রাজ্য বন দফতর।
- সোমবার আন্তর্জাতিক বাঘ দিবসে রাজ্য জু-অথরিটির সদস্যসচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, "নন্দনকানন থেকে আরও একটি বাঘিনী নিয়ে আসার কথা রয়েছে। বিনিময়ে আলিপুর থেকে জিরাফ পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় জু অথরিটিকে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এখন শুধু কেন্দ্রের ছাড়পত্রের অপেক্ষা।"
- আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, "চিড়িয়াখানায় দীর্ঘ কয়েকবছর বাঘ পরিবারে নতুন সদস্য জন্মায়নি। ওদের প্রজননের চেষ্টা চলছে। পুরনোদের মধ্যে অনেকের বয়স হয়েছে। তাই বাইরে থেকে বাঘ নিয়ে এসে প্রজননে চেষ্টা চালানো হবে। চলতি বছরেই তিনটি বাঘ নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বয়স কম। আশা করছি, এরা হতাশ করবে না।"
আলিপুরে বাঘের সংসার- আলিপুর চিড়িয়াখানায় শেষবার 2006 সালে বাঘিনী কৃষ্ণা আর সাদা বাঘ অনির্বাণের সন্তান 'বিশাল' জন্মেছিল। তারপর আর খুশির খবর পাওয়া যায়নি চিড়িয়াখানা বাঘ পরিবারে। 2016 সালে নন্দনকানন থেকে ঋষি, পায়েল, শিলা ও স্নেহাশিস নামের চার-চারটি বাঘ নিয়ে আসা হয়েছিল। শিলা ও স্নেহাশিসকে পরে উত্তরবঙ্গে বেঙ্গল সাফারি পার্কে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁদের সন্তান হয়। অথচ আলিপুরে ঋষি, পায়েল সুখবর দিতে পারেনি। তাই, স্নেহাশিসকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর আলিপুরে পায়েল ও সাদা বাঘিনী রূপার সঙ্গে নতুন করে সংসার পাতে। কিন্তু, সুখের হয়নি। দুই জনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এই কারণেই 2019 সালে পটনা থেকে একটি সাদা বাঘ নিয়ে আসা হয় রূপার জন্য। কিন্তু, সেও নিরাশ করে ৷ আজ আবার এত বছর পর ওড়িশার নন্দন থেকে বাঘ আসার প্রস্তাব পাঠানো হল ৷