কলকাতা, 15 এপ্রিল: রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণের ঘটনার পর গ্রেফতার সন্দেহভাজন জঙ্গি আবদুল মাথিন ত্বাহা ওরফে সুমিত এবং মুসাভির হুসেন সজীব আল হিন্দ মডিউলের সদস্য বলে অনুমান গোয়ান্দাদের। এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের এসটিএফের এক গোয়েন্দা আধিকারিক বলেন, "রাজ্যে নতুন নতুন জঙ্গি মডিউল কোথায় কোথায় সৃষ্টি হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির সঙ্গে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দাদের প্রায়শই মিটিং হয়। কিন্তু এই নতুন জঙ্গি মডিউল এই রাজ্যের রয়েছে কি না, সেই ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে এখনও পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।"
গত 1 মার্চ রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণ হয় ৷ এরপরই দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে রাজ্য থেকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ ৷ তারপরই উঠে আসছে একের পর এক তথ্য ৷ সেই সঙ্গে কী করে কলকাতা-সহ রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় এই জঙ্গিরা এতদিন লুকিয়ে ছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ সে বিষয়ে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা আধিকারিকের কথায়, "কিছু একটা বিষয় তো আছেই, না হলে এই নতুন জঙ্গি মডিউলের সদস্যরা কীভাবে কলকাতায় এতদিন নিরাপদে থাকতে পারে ?"
রাজ্যের গোয়েন্দাদের দাবি, কলকাতা থেকে পুরুলিয়া হয়ে রাঁচি গিয়েছিল জঙ্গিরা। সেখানে এক ব্যক্তি তাদের আর্থিক সাহায্যও করে। কিন্তু কারা তাদেরকে আর্থিকভাবে সাহায্য করল ৷ কারাই-বা তাদের হাতে মোবাইল সিম কার্ড তুলে দিল, সে ব্যাপারে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না গোয়েন্দারা ৷ গোয়েন্দাদের অনুমান, পুরুলিয়া থেকে ঝাড়খন্ড সীমানা হয়ে অন্য রাজ্যে পালানোর ছক কষেছিল জঙ্গিরা। পুরুলিয়া এবং রাঁচি যাওয়ার আগে কলকাতার একবালপুরের একটি গেস্ট হাউসে ছিল তারা ৷ পরে তারা হাওড়া পৌঁছয়। যদিও সহজেই তারা ধর্মতলা থেকে দিঘার বাস ধরতে পারত কিন্তু তারা হাওড়াকে বেছে নেয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কলকাতায় থাকার সময় ত্বহা এবং সজীব কোনও ফোন ব্যবহার করেনি। রাঁচি যাওয়ার সময়ে পুরুলিয়ায় প্রথম ফোন ব্যবহার করে তারা। ফলে কেউ বা কারা তাদের হাতে মোবাইল ফোন এবং সিম হাতে তুলে দেয় বলেই অনুমান পুলিশের।
এনআইএ সূত্রের খবর, তাদের হাতে একটি সিসিটিভি ফুটেজ এসে পৌঁছেছে। একই সঙ্গে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, 28 মার্চ থেকে গ্রেফতার হওয়া পর্যন্ত কাঁথি, দিঘার একাধিক হোটেলে লুকিয়ে ছিল তারা।
আরও পড়ুন
লালবাজারের নাকের ডগায় রাত কাটায় জঙ্গিরা, জানতেই পারেনি কেউ
হোটেল থেকে চাঁদনি চকে অবাধ বিচরণ! প্রকাশ্যে দুই সন্দেহভাজনের সিসিটিভি ফুটেজ