কলকাতা, 24 ফেব্রুয়ারি: ডিম-ভাতের উপর নির্ভরশীল রাজ্যের কয়েক কোটি মানুষ ৷ 5 টাকায় পাতে ডিমের ঝোল আর ভাত ৷ যা আসলে খিদে মেটাচ্ছে গরীব থেকে নিম্নবিত্তের ৷ রাজ্যের কোনও মানুষকে পেটে খিদে পুষে থাকতে হবে না, তেমনই অঙ্গীকার করেছিল মা-মাটি মানুষের সরকার ৷ ক্ষমতাসীন হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাই চালু করে 'মা ক্যন্টিন' ৷ মহানগরে কলকাতা কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে চলা এই মা ক্যান্টিন থেকে সরবরাহ করা সুষম খাদ্যের প্লেটের সংখ্যা ছুঁতে চলেছে 2 কোটির মাইলস্টোন।
কলকাতায় বহু প্রান্তিক মানুষ যেমন কাগজ কুড়ুনি থেকে শুরু করে ভ্যান চালক, পরিচারিকা, ভিক্ষুক তাদের খিদের সংস্থানের একমাত্র ভরসা স্থানীয় মা ক্যান্টিন। দুপুর 12টা বাজলেই মা ক্যান্টিনের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন তাঁরা । মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময় হাতে আসে দুপুরের খাবার। খাবারের মেনুও থাকে পুষ্টিকর ৷ এই সমস্ত মানুষ যাতে পুষ্টি সম্পূর্ণ আহার থেকে বঞ্চিত না-হন তার জন্য ডিম ও সোয়াবিনও থাকে ৷ ভাত, ডালের সঙ্গে কখনো আলু সবজি ও সোয়াবিনের তরকারি থাকে। আর থাকে ডিমের ঝোল। যা 5 টাকার বিনিময়ে পান সকল পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষজন ৷
কলকাতা কর্পোরেশনের তথ্য অনুসারে, শুরুর দিন থেকে গত বছর আগস্ট মাস পর্যন্ত কলকাতায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও হাসপাতালগুলোতে থাকা 1কোটি 95 লক্ষ 73 হাজার 722 জন মানুষ মা ক্যান্টিন থেকে 5 টাকার বিনিময়ে ডিম ভাত পেয়েছেন । চলতি অর্থ বছরে 2023 অগস্ট পর্যন্ত 44 লক্ষ 92 হাজার 896 জন উপকৃত হয়েছেন । চলতি বছরে মার্চ মাসের শেষে এই সংখ্যা আরও 6 লাখের বেশি অতিক্রম করবে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল ।
প্রসঙ্গত, জেলাগুলোর তুলনায় কলকাতায় এই মা ক্যান্টিনের স্টলের সংখ্যা বেশি বলেই দাবি কর্পোরেশনের আধিকারিকদের । এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের এক আধিকারিক বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক প্রকল্প এটা। কলকাতার মত শহরে বহু দরিদ্র, প্রান্তিক মানুষ যেমন আছেন, যারা চাইলেই সুষম খাবার থেকে পারেন না। তাদের কাছে এই মা ক্যান্টিন ভরসা । প্রতিদিন সমস্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিকে জয় করে এই পরিষেবা চালিয়ে যাই।" তিনি আরও উল্লেখ করেন ডিমের দাম বৃদ্ধি, সবজির দাম বৃদ্ধিতে খরচ বেড়ে গেলেও পরিষেবায় খামতি থাকে না। আগামিদিনে বেশ কয়েকটি জায়গায় নতুন করে মা ক্যান্টিন খোলার পরিকল্পনা আছে । ফলত আগামী অর্থবর্ষে আরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন, এমনটাই জানিয়েছেন ওই আধিকারিক ৷
আরও পড়ুন: