আসানসোল, 21 মে: "হাই, হ্যালো ছোড়ো, হরেকৃষ্ণ বোলো", সোশাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল এই শ্লোগান ও শ্লোগান দেওয়া ফুটফুটে এক বালক। উত্তর প্রদেশের গোবর্ধনের বাসিন্দা বছর চারের এই শিশু ভগবত দাস বহ্মচারী ইতিমধ্যেই বিস্ময় বালক হিসেবে চিহ্নিত। গীতার কঠিন কঠিন শ্লোক তার ঠোঁটস্থ। সেই ভগবত দাস বহ্মচারীর মোমের মূর্তি এবার আসানসোলে। আসানসোলের ভাস্কর সুশান্ত রায় এই বিস্ময় বালকের মূর্তি বানালেন।
আসানসোলে ওয়াক্স মিউজিয়ামে এতদিন অমিতাভ বচ্চন, উত্তম কুমার থেকে শুরু করে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, শাহরুখ খান, সুশান্ত সিং রাজপুত এমনকী দেবেরও মূর্তি রয়েছে। মূর্তি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জ্যোতি বসু-সহ আরও অনেক খ্যাতিমান মানুষজনের। সেই ওয়াক্স মিউজিয়ামে এবার বিস্ময় বালক ভগবত দাস বহ্মচারীর মোমের মূর্তি। একেবারে তার উচ্চতায় অবিকল একই দেখতে মোমের মূর্তি বানিয়েছেন ভাস্কর সুশান্ত রায়।
কৃষ্ণপ্রেমী এই শিশু ইতিমধ্যেই শোরগোল তুলেছে সোশাল মিডিয়া থেকে ন্যাশনাল টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয়। কেউ তাকে হাই বা হ্যালো বললেই, সে বলে, "হাই হ্যালো ছোড়ো, হরেকৃষ্ণ বোলো।" তার আধো আধো স্বরে মিষ্টি কথায় সে এখন পৃথিবীর কৃষ্ণপ্রেমী মানুষদের কাছে প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছে। সেই ভগবত দাস বহ্মচারীর স্ট্যাচু এবার আসানসোলের বিখ্যাত ওয়াক্স মিউজিয়ামে। কিন্তু কেন?
আসানসোলের ওয়াক্স মিউজিয়ামের কর্ণধার সুশান্ত রায় বলেন, "আমি যখন থেকে ওই শিশুটিকে দেখেছি তখন থেকেই আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আর আমার সেই ভালোলাগা থেকেই এই মূর্তিটি আমি বানিয়েছি। আমার ওয়াক্স মিউজিয়ামে এখন মানুষজন এসে এই মূর্তিটি দেখে খুব খুশি হচ্ছেন।" ওয়াক্স মিউজিয়ামে আসা এক দর্শক শুভজিৎ দাস বলেন, "আমরা ভাবতে পারিনি মোবাইলে টিভিতে যাকে দেখেছি সেই ভগবত দাস ব্রহ্মচারীর মূর্তি আমরা দেখতে পাব আসানসোল। এই আমাদের কাছে বিরাট প্রাপ্তি আমরা খুব খুশি হয়েছি।"
আরও পড়ুন: