কলকাতা, 27 ডিসেম্বর: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে তৃণমূল নেতা তথা কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানকে ফোন করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ । জানা গিয়েছে, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তর থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টায় ধৃত তিন যুবক । তাঁদের কলকাতার কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেল থেকে গ্রেফতার করেছে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ ।
অভিযুক্তদের এমএলএ হস্টেলের একটি ঘরে রাখা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে । তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃতদের জন্য এই হস্টেলের বুকিং কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে করে দিয়েছিলেন । তবে তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি । লালবাজার সূত্রের খবর, ওই বিধায়কের ভূমিকা তদন্ত করা হচ্ছে ।
অভিযোগ, গত 24 ডিসেম্বর কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে হোয়াটসঅ্যাপ কল করেন বলে অভিযুক্তরা । এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের ডিপিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো ছিল বলে জানা গিয়েছে । অভিযুক্তরা কালনার চেয়ারম্যানকে ফোন করে বলেন যে, তাঁরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে কথা বলছেন । এছাড়াও তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদস্থ সরকারি আধিকারিক বলেও দাবি করেন অভিযুক্তরা ।
এরপরেই আনন্দ দত্তের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয় বলে অভিযোগ । পুলিশ সূত্রে খবর, আনন্দ দত্তের সন্দেহ হওয়াতে তিনি দলের বেশ কয়েকজনকে এই ঘটনাটি জানান । এরপরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে ফোন করে গোটা বিষয়টি যাচাই করতে চান তিনি । পরে জানা যায়, গোটাটাই একটা চক্রান্ত । সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনার বিরুদ্ধে তিনি ব্যবস্থা নেন এবং সেক্সপিয়ার সরণি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷
তাঁর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত নামে কলকাতা পুলিশ । গতকাল রাতে কলকাতার কিড স্ট্রিটের এমএলএ হস্টেলের ভিতর থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয় । এই ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, এই তিন ব্যক্তির কাছ থেকে বেশকিছু নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে, যেগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে । ধৃতদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইছে কলকাতা পুলিশ ।
উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে ফোন করে তোলা আদায় করার ঘটনা এই প্রথম নয় ৷ এর আগেও, শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে । তাঁরাও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে টাকা তুলতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে ।