বোলপুর, 8 মার্চ: দইবড়া খেয়ে অসুস্থ অন্ততপক্ষে 120 জন ৷ গত 5 মার্চ বীরভূমের বোলপুরের সর্বমঙ্গলা নামে মিষ্টির দোকান থেকে দইবড়া খেয়ে লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ ৷ যার প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে ওই মিষ্টির দোকানের সামনে লোকজন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ অভিযোগ দইবড়ায় বিষক্রিয়া থেকে ছোটবড় একশোজনের বেশি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷
অসুস্থ হয়ে অধিকাংশ লোকজন বোলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল ও বিশ্বভারতীর পিয়ার্সন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন ৷ অনেকের বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে ৷ জানা গিয়েছে, খোদ খাদ্য সুরক্ষা দফতরের এক আধিকারিকও এই দোকানের দইবড়া খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৷ বিষয়টি নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে সোশাল মিডিয়াও ৷ বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে খাদ্য সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানাবেন ৷
বোলপুরে শান্তিনিকেতন রাস্তার উপর জনপ্রিয় একটি মিষ্টির দোকান সর্বমঙ্গলা ৷ গত 5 মার্চ এই দোকান থেকে দইবড়া খেয়েছিলেন বহু মানুষ ৷ এরপরই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খরব আসতে শুরু করে খাবারে বিষক্রিয়া হয়ে অনেকে হাসপাতালে ভরতি হয়েছে ৷ সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট শুরু হয়ে যায় ৷ কিন্তু, কীভাবে তা বোঝা যাচ্ছিল না ৷ একে একে সকলে জানাতে থাকেন, তারা ওই মিষ্টির দোকান থেকে দইবড়া কিনে খেয়েছিলেন ৷ এরপরেই লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ৷ জানা যায়, অসুস্থের সংখ্যা 120 জন ৷ অধিকাংশই হাসপাতালে ভরতি ৷ আর কিছু লোক বাড়িতে স্যালাইন নিচ্ছেন ৷ এই অসুস্থদের তালিকায় রয়েছেন, বোলপুরের ফুড সেফটি অফিসার সঞ্জুয়ারা খাতুন ৷ তিনিও তিন ধরে চিকিৎসাধীন ৷
এদিন আন্দোলনকারীরা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ৷ দোকানের সাটার নামিয়ে দেওয়া হয় ৷ অবশ্য, দইবড়া থেকে বিষক্রিয়ার অভিযোগ স্বীকার করে নেন মিষ্টির দোকানের মালিক শ্যামল মণ্ডল ৷ তিনি বলেন, "আমি ক্ষমা চাইছি সবার কাছে ৷ আমাদের ভুলেই এমন ঘটনা ঘটেছে ৷ তবে, আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি ৷ যারা অসুস্থ তাদের ক্ষতিপূরণ দেব ৷"
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘমিত্রা ঘোষ, কৃষ্ণেন্দু হাজরা বলেন, "তিনদিন ধরে এত মানুষ অসুস্থ, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে ৷ তাও মিষ্টির দোকানের মালিকের কোনও হেলদোল নেই ৷ তাই আমরা এসেছি আজ ৷ এর দায় কে নেবে ? খাদ্য নিরাপত্তা কোথায় শহরে ?"
আরও পড়ুন:
