কলকাতা, 8 মে: উচ্চমাধ্যমিকে দশম হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে তমলুকের মানিকতলার বাসিন্দা তন্বিষ্ঠা দাস। কলকাতার যোদপুর পার্কের পাথ ফাইন্ডার এইচএস পাবিলক স্কুলের ছাত্রী। কলকাতার ছাত্রাবাসে থেকেই পড়াশোনা করেছেন। ফলে বিভিন্ন বিষয় গৃহশিক্ষক রাখার কোনও সুযোগ ছিল না। তাঁকে পঠনপাঠনে সাহায্য করেছেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিজ্ঞান নিয়েই তার পড়তে ভালো লাগে। কম্বিনেশন ছিল অঙ্ক-রসায়ন-পদার্থ বিজ্ঞান এবং পরিসংখ্যান বিদ্যা।
তন্বিষ্ঠা দাস জানিয়েছেন, মাধ্যমিকে দশম হয়েছিলেন। এবারও দশম হলেন। পুরোপুরি প্রত্যাশিত ছিল না। শেষের দিকে প্রস্তুতিতে একটু ঘাটতি ছিল। তবু আমি খুব খুশি। আমি সারা বছর নিয়মিত পড়াশোনা করি। কমপক্ষে 6-7 ঘণ্টা পড়তাম। পড়া ছাড়া গান ছিল পছন্দের। সময় পেলে হস্টেলের বন্ধুদের সঙ্গে লুডো খেলতাম। আগামিদিনে ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই। গবেষণা করতেও ভালো লাগে। বাড়িতে যমজ বোন আছে। বাবা একটি কর্পোরেট সংস্থায় কর্মরত। কাজের সুত্রে চেন্নাইতে থাকেন। মা সরকারি স্কুলের ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষিকা। এই সাফল্যের জন্য বাড়ির সকলের অবদান আছে। বিশেষ করে বাড়ি ফিরলে মা পড়াতেন।
উল্লেখ্য, তন্বিষ্ঠা দাসের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর হলেও তাঁর পঠনপাঠন কলকাতার যদপুর এলাকার পাথ ফাইন্ডার এইচএস পাবলিক স্কুলে। তার মোট প্রাপ্ত নম্বর 487। শতাংশেকর বিচারে 97.4 । ঘরের মেয়ের মাধ্যমিকের পর ফের উচ্চমাধ্যমিকে এই অভাবনীয় ফলে বাড়ির সকলেই খুশি। মেয়ের উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্টের জন্য কয়েকদিন আগেই চেন্নাই থেকে কাজে ছুটি নিয়ে বাবা বাড়ি ফিরেছেন। ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে শুধু বাড়িতে নয়, এলাকার লোকজনও খুশি। সকলেরই ইচ্ছা আগামিদিনে বড় মানুষ হোক। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হোক তাঁদের পাড়ার ছোট্ট মেয়েটি।
আরও পড়ুন: