কলকাতা, 20 অক্টোবর: ভোরবেলা শহরে পা রেখে সন্ধেয় বড় ম্যাচের ডাগ-আউটে ইস্টবেঙ্গল কোচ ৷ দলকে একবারের জন্যও ট্রেনিং না-করানো নয়া কোচ অস্কার ব্রুজোকে কেন বসতে দেওয়া হল মেগা ম্যাচের বেঞ্চে ? অস্কারই বা কেন বসতে চাইলেন ? তা নিয়ে সমালোচনা লাল-হলুদ জনতার অন্দরে ৷ যদিও কার্লেস কুয়াদ্রাতের উত্তরসূরি ম্য়াচ শেষে জানিয়ে দিলেন, বেঞ্চে বসার সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই ভুল ছিল না ৷ তবে দলের অসুখ ধরে ফেলেছেন তিনি ৷
শনিবার 0-2 গোলে অসহায় নতিস্বীকারের পর কোনও অজুহাতের রাস্তায় না-হেঁটে অস্কার ব্রুজো মেনে নেন, শারীরিক সক্ষমতার কাছেই হেরেছে দল ৷ একইসঙ্গে দলের মানসিক জোরও যে সঠিক জায়গায় নেই, তাও মানছেন তিনি। ফলে ইস্টবেঙ্গলকে চাঙ্গা করতে কোনও দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া অবলম্বন করা যে যাবে না সেটা বুঝেছেন অস্কার। তাই আইএসএল, এএফসি চ্য়ালেঞ্জ কাপের মাঝেই সংশোধনের কাজ সারার পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন তিনি ৷ ম্যাচের দিন সকালে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে বাজিমাত করে ফেলবেন এমনটা কেউ ভাবেননি। তবে তাঁর টোটকায় লড়াকু ফুটবলের আশা করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
কিন্তু সেটা না-হওয়ায় হারের পর অস্কার ব্রুজো এদিন বলেন, "আমাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। তবে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে আশাবাদী।" দু'গোল হজমের জন্য দলের দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি ও হেক্টর ইউস্তেকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সমালোচকরা। সেই পথে না-হেঁটে অস্কার জানালেন, দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের খেলায় তিনি খুশি। প্রান্তিক আক্রমণের দুই কারিগর লিস্টন কোলাসো এবং মনবীর সিংকে রক্ষণের ফুটবলাররা স্বাধীনভাবে খেলতে দেয়নি বলে দাবি লাল-হলুদের নয়া কোচের। সব ভুলে আপাতত ওড়িশা এফসি'র বিরুদ্ধে তিন পয়েন্টই লক্ষ্য অস্কারের ৷
এদিকে তাঁর দলের মূল সমস্যা হল, ফুটবলাররা মানসিকভাবে আনফিট ৷ শনিবার ম্যাচ শেষে দাবি করেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ৷ তিনি জানান, নয়া কোচ যত তাড়াতাড়ি এই অবস্থা থেকে বের করতে পারবেন তত ভালো ৷ এমনকী প্রয়োজনে মনোবিদ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি ৷