কলকাতা, 5 এপ্রিল: ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ান এফসি ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে শনিবার দিল্লিতে নামছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ৷ প্রতিপক্ষ পঞ্জাব এফসি ৷ কিন্তু, দমকলের ছাড়পত্র-না পাওয়ায় জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম থাকবে দর্শক-শূন্য ৷ যে ম্যাচে চোটের জন্য নেই মোহনবাগানের প্রাণ ভোমরা সাহাল আব্দুল সামাদ ৷ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামতে চলেছেন দিমিত্রি পেত্রাতোসরা ৷ জিতলে তাঁরা টিকে থাকবেন লিগ-শিল্ড জয়ের দৌড়ে ৷
পঞ্জাবের বিরুদ্ধে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার বাগান শিবিরে যাবতীয় উৎকন্ঠা কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে ঘিরে ৷ হাবাস কি থাকবেন ডাগ আউটে ? তিনি থাকা এবং না-থাকার মধ্যে পার্থক্য কোথায়, তা দেখা গিয়েছে চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে ৷ কিন্তু, সেই হাবাস অসুস্থতার কারণে মোহনবাগানের অনুশীলনে নেই ৷ গত কয়েকদিনের মতো, শুক্রবারও অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন না স্প্যানিশ কোচ ৷ ফলে সাংবাদিক সম্মেলন তিনি করবেন বলে ঘোষণা করা হলেও, তা সম্ভব হয়নি ৷ তাঁর বদলে সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন ম্যানুয়েল পেরেজ ৷ কী হয়েছে হাবাসের ? ম্যানুয়েল নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি ৷ তবে সূত্রের খবর, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত সবুজ-মেরুন কোচ ৷
শনিবার ম্যাচের আগে তিনি সুস্থ থাকেন কি না, সেটাই দেখার ! সুস্থ থাকলে তাঁকে আপদকালীন ভিত্তিতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে দিল্লিতে ৷ ফলে হাবাসকে নিয়ে সংশয় একটা থাকছেই ৷ কোচের অসুস্থতা, গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারের অসুস্থতা, এত প্রতিবন্ধকতা থাকলেও অধিনায়ক শুভাশিস বসু বলছেন, "আমাদের ফোকাস শুধুই পঞ্জাব ম্যাচের দিকে ৷ হাবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য আমাদের ৷ তিনিই দল পরিচালনা করেন ৷ হাবাস দলের সব ৷ আবার সাহালেরও চোট রয়েছে ৷ তবে ভেবে দেখতে হবে, মরশুমে অনেক ফুটবলারেরই চোট-আঘাত ছিল ৷ আনোয়ারের চোট ছিল ৷ সেই জায়গায় দীপেন্দু খেলেছে ৷ আমরা ম্যাচ জিতেছি ৷ আমাদের দলটা এই কারণেই খুব শক্তিশালী ৷ যারা নামেন, তাঁরা নিজেদের সেরাটা দেন ৷ আপাতত সব ভুলে আমাদের পঞ্জাব ম্যাচ নিয়েই ভাবতে হবে ৷ ম্যাচটা জিততে হবে ৷ তারপরে বাকি ম্যাচগুলোর কথা ভাবব ৷"
কিন্তু সমর্থক না থাকা ! যে কোনও দলের চালিকা শক্তিই তো দর্শকরা ৷ দ্বাদশ ব্যক্তির কাজ করে তারা ৷ শুভাশিস বলেন, "সমর্থকদের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ৷ 70-80 মিনিটের পরে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়লে ওঁরা আমাদের উৎসাহ দেয় ৷ আমরা উজ্জীবিত হয়ে উঠি ৷ দুর্ভাগ্যবশত সমর্থকরা মাঠে থাকবে না ৷ কিন্তু, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আমাদের খেলতে হবে ৷ এই ম্যাচ জিতলে পরবর্তী ম্যাচগুলি ফাইনাল মনে করে খেলতে নামতে পারব ৷ কোভিডে দর্শকশূন্য মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা তো রয়েছে ৷"
আরও পড়ুন: