কলকাতা, 4 মে: "যুবভারতীকে স্তদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে আমার দল।" ঠান্ডা মাথায় হুংকার ছুড়ছেন ক্রাতকি। 19 দিন আগে ভরা যুবভারতীতে মোহনবাগানের কাছে পর্যুদস্ত হয়ে লিগ শিল্ড হাতছাড়া করেছিল মুম্বই সিটি এফসি। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। ক্ষতে প্রলেপ পড়বে যদি মোহনবাগানকে হারাতে পারে মুম্বই। সবুজ-মেরুনের ত্রিমুকুট জয়ের স্বপ্ন তছনছ করে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হতে মুখিয়ে মুম্বই। ছক কষে তাঁরা বাগান সমর্থকদের গর্জনকে পরিণত করতে চায় হাহাকারে।
প্রস্তুত হয়ে ফাইনাল খেলতে এসেছে ক্রাতকির দল। তাঁদের ঘাড়ে সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপটা নেই। অনেক খোলামনে খেলতে পারবেন লাললিয়ানজুয়ালা ছাংতে, বিপিন সিংহ, বিক্রম প্রতাপ সিং'রা। যে কারণে তীব্র গরমেও খোলা মনে রয়েছে মুম্বইয়ের ফুটবলাররা। কোচের মতো শান্ত সবাই। লক্ষ্যে অবিচল। ফাইনালের আগে শুক্রবার শেষ মহড়ায় বেশ চনমনে ছাংতে, রাহুল ভেকে। গতকাল সন্ধেয় হালকা অনুশীলন সারলেন তাঁরা। ক্রাতকি দলকে মূলত সিচ্যুয়েশন প্র্যাকটিস করানোর পাশাপাশি ক্ষিপ্রতা বাড়ানোয় জোর দিলেন।
মুম্বইয়ের কোচ বললেন, "নতুন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে নামব আমরা। আগের ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে নামব।" মুম্বইয়ের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন ছাংতে, বিক্রম, জর্জে, বিপিনরা। এই চর্তুভুজ যে কোনও রক্ষণের ঘুম উড়িয়ে দিতে পারে। ফাইনালেও ছাংতেদের থেকে সেরাটা বের করতে চান মুম্বইয়ের কোচ। প্রতিপক্ষের কোচ এবং ফুটবলারদের সম্পর্কে সমীহের সুর শোনা গেল পিটারের গলায়। বললেন, "কারও জন্য আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা করিনি। হাবাস খুব ভালো কোচ। আমরা আমাদের নিজস্ব খেলাটা খেলব। প্রচণ্ড গরম। তবে দুই দলের কাছেই একই আবহাওয়া। দু'জনের কাছেই কঠিন লড়াই। গরম সামলে নিজের খেলা খেলাটাই আমাদের কাজ।"
স্টেডিয়ামে বাগানের সমর্থকই থাকবে ষাট হাজার মতো। টিফো, পতাকা নিয়ে মাঠ ভরাবেন মেরিনার্সরা। পুরো নব্বই মিনিট ধরে তাঁরা চিৎকারে করে যাবেন মোহনবাগানের হয়ে। এমন পরিস্থিতিতে বিপক্ষের ফুটবলারদের হাড়হিম হয়ে যেতে বাধ্য। এবার আর ভীতসন্ত্রস্ত নয় মুম্বই। সেটা তাঁদের কোচের কথাতেই পরিষ্কার। ক্রাতকির আরও সংযোজন, "দর্শক আলাদা কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। বরং আলাদা উৎসাহ পাব আমরা। তবে দারুণ পরিবেশ হবে। আমাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য রেখে খেলতে হবে। লড়াই করব আমরা।"
আরও পড়ুন: