ETV Bharat / sports

ঘরের মাঠে বল্গাহীন বাগান, জামশেদপুর বধ করে শীর্ষের পথে গঙ্গাপাড়ের ক্লাব

Mohun Bagan in Indian Super League: 3 গোলে জামশেদপুরকে উড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল মোহনবাগান ৷ জেসন কামিংসের শট পোস্টে না-লাগলে এবং আর্মান্দো সাদিকু, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোরা জড়তা ছাড়া খেললে গোলসংখ্যা আরও বাড়ত ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 1, 2024, 9:29 PM IST

Updated : Mar 1, 2024, 10:13 PM IST

কলকাতা, 1 মার্চ: দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিংস, আর্মান্দো সাদিকু ৷ তিন বিদেশির পায়ে জামশেদপুরকে হেলায় হারাল মোহনবাগান ৷ আপাতত লিগ শিল্ডকেই যে পাখির চোখ করেছেন বাগানের হেডস্যর, হাবাসের ছেলেদের খেলায় তা স্পষ্ট ৷ ম্যাচের সাত মিনিটেই জামশেদপুরের জালে বল জড়িয়েছিলেন পেত্রাতোস ৷ বাকি সময়টা সেই রেশ ধরেই খেলা চালিয়ে গেল বাগান ৷ কাউকো-মনবীর-পেত্রাতোস । কাউকো-মনবীর-কামিন্স । সবুজ-মেরুন ত্রিফলায় বিদ্ধ জামশেদপুর এফসি । কামিংসের শট পোস্টে না-লাগলে এবং সাদিকু, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোরা জড়তা ছাড়া খেললে গোলসংখ্যা আরও বাড়ত ৷

শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট 3-0 গোলে প্রতিপক্ষকে দুমড়ে পয়েন্ট টেবিলের দু’নম্বরে উঠে এল ৷ মোহনবাগানের এখন 16 ম্যাচে 33 পয়েন্ট পকেটে । আন্তেনিও লোপেজ হাবাসের চোখ ফের মগডালে । বাকি পাঁচ ম্যাচে ওড়িশা এফসিকে টপকে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ । তবে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে ফুটবলারদের চাপে ফেলার চেয়ে ধাপে ধাপে এগনোর কথা বলছেন বাগানের চানক্য । জুয়ান ফেরান্দোর থেকে দায়িত্ব নিলেও সুপার কাপে ডাগ-আউটে বসেননি । আইএসএলে আপাতত ছ’টি ম্যাচ হাবাসের অধীনে খেলেছে মোহনবাগান । চার জয়, দুই ড্র’য়ে বাগান ফের দৃষ্টিনন্দন ।

ছ’মিনিটে জনি কাউকোর বাড়ানো বল মনবীর সিং ধরে তা পিছন থেকে উঠে আসা পেত্রাতোসকে বাড়িয়ে দেন । অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার গোল করতে ভুল করেননি । মোহনবাগানের ভালো খেলার অন্যতম কারন পেত্রাতোসের বিধ্বংসী অথচ সৃষ্টিশীল ফুটবল । নেমে, উঠে, গোল করে এবং করিয়ে তিনি দলের চালিকাশক্তি হয়ে উঠছেন । একই কথা বলতে হয় জনি কাউকোর বিষয়ের । ফিনল্যান্ডের ফুটবলার যেন মিডফিল্ড জেনারেল । শেষ পাঁচটি ম্যাচে ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স করে চলেছেন । যা মোহনবাগানের প্রত্যাশিত ছন্দে ফেরার অন্যতম কারণ ।

ফেরান্দোর আমলে যে মনবীর, লিস্টন কোলাসোদের দিগভ্রষ্ট মনে হত, হাবাসের হাতে পড়ে তাঁরাই ঝকঝকে । তিন গোলে জয়ের ম্যাচে মনবীর প্রতিটিতেই অনুঘটকের ভূমিকা পালন করলেন । তবুও মোহনবাগান নিঁখুত বলা যাবে না । কারণ প্রথমার্ধে দাপট সামান্য হলেও দেখিয়েছিল জামশেদপুর । কিন্তু চিমা চুকু শুধু গুঁতোগুতি করলেন । সিভেরিও জার্সি বদলেও একইরকম । 68 মিনিটে মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোল । সেখানেও কাউকো এবং মনবীরের দান । যা থেকে কামিন্স গোল না-করতে পারলেই অপরাধ হত । যদিও তার পাঁচ মিনিট আগে কামিন্সের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয় । 80 মিনিটে তিন নম্বর গোল কাউকোর পরিবর্তে মাঠে নামা আর্মান্দো সাদিকুর । ম্যাচের সেরা মনবীর । ডার্বির আগে আর ম্যাচ নেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের । আগামী ন’দিন ডার্বির পরিসংখ্যান উন্নতিতে হাবাস যে আরও যত্নবান হবেন তা ধরে নেওয়া যায় ।

আরও পড়ুন:

কলকাতা, 1 মার্চ: দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিংস, আর্মান্দো সাদিকু ৷ তিন বিদেশির পায়ে জামশেদপুরকে হেলায় হারাল মোহনবাগান ৷ আপাতত লিগ শিল্ডকেই যে পাখির চোখ করেছেন বাগানের হেডস্যর, হাবাসের ছেলেদের খেলায় তা স্পষ্ট ৷ ম্যাচের সাত মিনিটেই জামশেদপুরের জালে বল জড়িয়েছিলেন পেত্রাতোস ৷ বাকি সময়টা সেই রেশ ধরেই খেলা চালিয়ে গেল বাগান ৷ কাউকো-মনবীর-পেত্রাতোস । কাউকো-মনবীর-কামিন্স । সবুজ-মেরুন ত্রিফলায় বিদ্ধ জামশেদপুর এফসি । কামিংসের শট পোস্টে না-লাগলে এবং সাদিকু, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসোরা জড়তা ছাড়া খেললে গোলসংখ্যা আরও বাড়ত ৷

শুক্রবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট 3-0 গোলে প্রতিপক্ষকে দুমড়ে পয়েন্ট টেবিলের দু’নম্বরে উঠে এল ৷ মোহনবাগানের এখন 16 ম্যাচে 33 পয়েন্ট পকেটে । আন্তেনিও লোপেজ হাবাসের চোখ ফের মগডালে । বাকি পাঁচ ম্যাচে ওড়িশা এফসিকে টপকে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ । তবে বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে ফুটবলারদের চাপে ফেলার চেয়ে ধাপে ধাপে এগনোর কথা বলছেন বাগানের চানক্য । জুয়ান ফেরান্দোর থেকে দায়িত্ব নিলেও সুপার কাপে ডাগ-আউটে বসেননি । আইএসএলে আপাতত ছ’টি ম্যাচ হাবাসের অধীনে খেলেছে মোহনবাগান । চার জয়, দুই ড্র’য়ে বাগান ফের দৃষ্টিনন্দন ।

ছ’মিনিটে জনি কাউকোর বাড়ানো বল মনবীর সিং ধরে তা পিছন থেকে উঠে আসা পেত্রাতোসকে বাড়িয়ে দেন । অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার গোল করতে ভুল করেননি । মোহনবাগানের ভালো খেলার অন্যতম কারন পেত্রাতোসের বিধ্বংসী অথচ সৃষ্টিশীল ফুটবল । নেমে, উঠে, গোল করে এবং করিয়ে তিনি দলের চালিকাশক্তি হয়ে উঠছেন । একই কথা বলতে হয় জনি কাউকোর বিষয়ের । ফিনল্যান্ডের ফুটবলার যেন মিডফিল্ড জেনারেল । শেষ পাঁচটি ম্যাচে ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স করে চলেছেন । যা মোহনবাগানের প্রত্যাশিত ছন্দে ফেরার অন্যতম কারণ ।

ফেরান্দোর আমলে যে মনবীর, লিস্টন কোলাসোদের দিগভ্রষ্ট মনে হত, হাবাসের হাতে পড়ে তাঁরাই ঝকঝকে । তিন গোলে জয়ের ম্যাচে মনবীর প্রতিটিতেই অনুঘটকের ভূমিকা পালন করলেন । তবুও মোহনবাগান নিঁখুত বলা যাবে না । কারণ প্রথমার্ধে দাপট সামান্য হলেও দেখিয়েছিল জামশেদপুর । কিন্তু চিমা চুকু শুধু গুঁতোগুতি করলেন । সিভেরিও জার্সি বদলেও একইরকম । 68 মিনিটে মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোল । সেখানেও কাউকো এবং মনবীরের দান । যা থেকে কামিন্স গোল না-করতে পারলেই অপরাধ হত । যদিও তার পাঁচ মিনিট আগে কামিন্সের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয় । 80 মিনিটে তিন নম্বর গোল কাউকোর পরিবর্তে মাঠে নামা আর্মান্দো সাদিকুর । ম্যাচের সেরা মনবীর । ডার্বির আগে আর ম্যাচ নেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের । আগামী ন’দিন ডার্বির পরিসংখ্যান উন্নতিতে হাবাস যে আরও যত্নবান হবেন তা ধরে নেওয়া যায় ।

আরও পড়ুন:

Last Updated : Mar 1, 2024, 10:13 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.