বেঙ্গালুরু, 11 এপ্রিল: ওড়িশাকে হারিয়ে লিগ শিল্ডের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে মুম্বই । এক ম্যাচ বেশি খেলে বাগানের সঙ্গে পাঁচ পয়েন্টের পার্থক্য । ফলে লিগ শিল্ড জয়ের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে বেঙ্গালুরুকে হারাতেই হত ৷ অ্যাওয়ে ম্যাচে ‘ডু অর ডাই’ খেলতে নেমে সুনীল ছেত্রীদের কার্যত ছিঁড়ে খেল গঙ্গাপাড়ের ক্লাব ৷
হেক্টর ইউস্তের পরে মনবীর সিং, অনিরুদ্ধ থাপা ও আর্মান্দো সাদিকুরর গোলে কান্তিরাভায় সবুজ-মেরুন ঝড় । বেঙ্গালুরু এফসিকে 4-0 গোলে হারিয়ে আইএসএল লিগ শিল্ড জয়ের চুড়ান্ত পর্বে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট । 15 এপ্রিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মুম্বই সিটি এফসিকে হারাতে পারলেই অধরা লিগ শিল্ড ঢুকবে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে ।
কান্তিরাভায় প্রথমার্ধ যদি গোল, ফাউল এবং পেনাল্টি নষ্টের সৌজন্যে ঘটনাবহুল হয়, তাহলে বিরতির পরবর্তী 45 মিনিটের রং সবুজ-মেরুন । আন্তেনিও লোপেজ হাবাস অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত । ডাগ-আউটে দলের চাণক্যের অনুপস্থিতিতেও মোহনবাগান যেন সুপার জায়ান্টে পরিণত । প্রতিটি মিনিট তারা প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই শুধু করল না ৷ তাদের পদানত করল, দলিত করল । এই দুই প্রতিপক্ষের ফুটবল বৈরিতা মানেই বাড়তি অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ । সবচেয়ে বড় ব্যবধান 5-0 জয়ের রেকর্ড রয়েছে সবুজ-মেরুনের । লক্ষ্মীবারে কান্তিরাভায় সেই রেকর্ড ভেঙেই যেতে পারত ।
-
ALL OF US RIGHT NOW! 😄💚♥️
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) April 11, 2024
Watch #ISL 2023-24 live on @JioCinema , @sports18 & @vh1india 👉 https://t.co/s6ihnnu494#MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন #ISL10 #LetsFootball #ISLonJioCinema pic.twitter.com/Ezb9eWEy4z
17 মিনিটে পেত্রাতোসের কর্নার থেকে ইউস্তের হেড ক্রস বারে লেগে ফিরে আসে ৷ ফিরতি বল ডান পায়ের ভলিতে জালে পাঠান ইউস্তে । তার আগে নিশ্চিত লাল কার্ড দেখা থেকে বেঁচে যান মোহনবাগানের আমনদীপ । দু’দলের ফুটবলাররাই চোরাগোপ্তা ফাউল করতে থাকেন । চড়া মেজাজের ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা থেকে সমতায় ফেরার লক্ষ্যে মরিয়া বেঙ্গালুরু একাধিক বার গোলের পরিস্থিতি তৈরি করলেও সবুজ-মেরুন রক্ষণের দৃঢ়তায় সুনীল ছেত্রীরা ফায়দা তুলতে ব্যর্থ । সুনীলের পেনাল্টি থেকে গোল করার ব্যর্থতা বেঙ্গালুরুর প্রত্যাবর্তনের চেষ্টায় বড় ধাক্কা ।
বিরতির পর দাপট শুধুই মোহনবাগানের । সময় যত এগিয়েছে, তা সবুজ-মেরুন ঝড়ে পরিণত হয়েছে । 51, 54, 59 মিনিটে মনবীর সিং, অনিরুদ্ধ থাপা, সাদিকুর গোল বেঙ্গালুরুর পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেয় । ব্যবধান আরও বাড়ত যদি না মনবীর-সাদিকু-পেত্রাতোসরা একাধিক সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ না হতেন ।
আরও পড়ুন: