কলকাতা, 29 নভেম্বর: বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মসনদ হারালেন স্বপন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় । শুক্রবার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে চন্দন রায়চৌধুরী জিতলেন 45-20 ব্যবধানে ৷ সচিব পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিদায়ী কমিটির কোষাধ্যক্ষ জহর দাস । তিনি পরাজিত করেছেন কল্যাণ চট্টোপাধ্যায়কে । 41-24 ভোটে জয়ী জহর দাস ।
স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রী সমর্থিত প্রার্থীদের জয়ে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যসোসিয়েশনের মসনদে রাজ্যের শাসক দলের কর্তৃত্ব কায়েম হল । বিজয়ী হওয়ার পরে চন্দন রায়চৌধুরী বলেছেন, “খেলাধুলায় হারজিত হয়েই থাকে । বাবুনের কাছে আমি হেরেছিলাম । তবে খেলাধুলার স্বার্থে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হয় । বাবুনও থাকবে । আমরা একসঙ্গেই কাজ করব ।”
কোষাধ্যক্ষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন কমল মৈত্র । এই নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ছিলেন অজিত বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি সম্পর্কে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদা । চার বছর আগে অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মসনদে বসেছিলেন বাবুন । ফলে সেবারের মতো এই বছরও বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর দু’ভাইয়ের ছায়াযুদ্ধ ছিল । একই সঙ্গে শাসকদলের সুপ্রিমোর নির্দেশে আসরে নেমে ঘুঁটি সাজাচ্ছিলেন রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীও । যদিও তিনি প্রকাশ্যে আসেননি ।
মোট 14টি পদের জন্য 36টি অ্যাসোশিয়েশনের 68জন প্রতিনিধি ভোট দিলেন বিওএ নির্বাচনে । এর মধ্যে একটি পদ সভাপতির, সহ-সভাপতির জন্য 7টি পদ, সচিব 1টি, কোষাধ্যক্ষ 1টি, যুগ্ম সচিব 4টি । সহ-সভাপতি পদের লড়াইতেও টানটান উত্তেজনা । সাতজন সহ-সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা পড়েছিল 11 জনের । সকাল থেকেই ক্ষুদিরাম অনুশীলন চত্ত্বর ছিল সরগরম । বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ভোটদান শুরু হয় । বেলা তিনটে নাগাদ ফল বেরোতেই বিদায়ী সভাপতির হার নিশ্চিত হয় ৷