নয়াদিল্লি, 1 ফেব্রুয়ারি: বিশ্বের আঙিনায় ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের সাফল্যের কথা উঠে এল 2024-25 আর্থিক বছরের অন্তর্বর্তী বাজেটে ৷ এশিয়ান গেমস, প্যারা এশিয়ান গেমসে ভারতের সাফল্যের কথা বাজেট বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ পাশাপাশি বৃহস্পতিবার লোকসভায় দাঁড়িয়ে সারা বিশ্বে ভারতীয় দাবার অগ্রগতিরও প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর গলায় ৷ তিনি উল্লেখ করেছেন, 2010 সালের তুলনায় এখন গ্র্যান্ডমাস্টারের সংখ্যা চারগুন বৃদ্ধি পেয়েছে ।
নির্মলা সীতারামন বলেন, "দেশ এবার 2023 সালে এশিয়ান গেমস ও এশিয়ান প্যারা গেমসে সর্বোচ্চ পদক পেয়েছে ৷ দাবায় আমাদের 1 নম্বর ব়্যাংকের খেলোয়াড় প্রজ্ঞানন্দ 2023 সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনের বিরুদ্ধে কড়া টক্কর দিয়েছিলেন ৷ আজ ভারতে 80টিরও বেশি দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার রয়েছেন ৷ 2010 সালে এই সংখ্য়া কুড়ির কিছু বেশি ছিল ।"
উল্লেখ্য, এশিয়ান গেমস 2023-এ ভারত 107টি পদক জিতে একটি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে ৷ এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ পদক সংখ্যা ৷ চিন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলে চতুর্থ স্থানে ছিল ভারত ।
2014 সালে 57টি, 2018 সালে 70টি পদক পেয়েছিল ভারত ৷ পর পর দু’বার পদকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতের তরফে এবার 100 পদক জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয় ৷ সেই লক্ষ্য অর্জন করেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা ৷ শ্যুটিং ও অ্যাথলেটিক্স-কে অন্যতম দু’টি শক্ত ইভেন্ট হিসেবে ধরা হয় ৷ সেখানে ভারতীয় দল 22 ও 29টি পদক জিতেছিল । ভারত শ্যুটিংয়ে সাতটি সোনা জিতেছে এবং অ্যাথলেটিক্সে ছয়টি জিতেছে ।
দাবার জগতে বিশ্বনাথন আনন্দই ভারতের প্রথম কিংবদন্তি ৷ সেই জায়গা থেকে ভারত অনেকটাই এগিয়েছে ৷ ভারতের গ্র্যান্ডমাস্টার সংখ্যা 84 ৷ 84তম গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন তামিলনাড়ুর বৈশালী রমেশবাবু ৷ গত বছর তিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ৷ তাঁর ভাই প্রজ্ঞানন্দ অবশ্যই আগেই গ্র্য়ান্ডমাস্টার হয়েছেন ৷ বৈশালী ও প্রজ্ঞানন্দ প্রথম ভাই-বোনের গ্র্যান্ডমাস্টার জুটি ৷
বিশ্বনাথন আনন্দ বেশ কয়েকটি বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় সাফল্য এনে ভারতীয় দাবার দুনিয়ায় নতুন পথ দেখাতে শুরু করেন ৷ অনেকেই দাবার প্রতি আকৃষ্ট হন ৷ সেই তালিকায় অন্যতম নাম রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ ৷ মাত্র 10 বছর বয়সে তিনি আন্তর্জাতিক মাস্টার হন ৷ আর 12 বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন ।
আনন্দের পাশাপাশি কোনেরু হাম্পিও ভারতের খেলাধূলার অগ্রগতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন । আনন্দ 1998 সালে গ্র্যান্ডমাস্টারের খেতাব অর্জন করেছিলেন এবং হাম্পি 2002 সালে সেই খেতাব অর্জন করেন । এখন প্রযুক্তির আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে কোচিং ইনস্টিটিউটের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, দেশে দাবার সাফল্যও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে ।
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
আরও পড়ুন: