জলপাইগুড়ি, 6 ফেব্রুয়ারি: জলপাইগুড়িতে 'ইস্টবেঙ্গল সরণি'। জেলায় এই প্রথম ইস্টবেঙ্গলের নামে কোনও রাস্তার নামকরণ হল। এই সরণির উদ্বোধন করলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার আলভিটো ডি'কুনহা ও রহিম নবি। জলপাইগুড়ি পৌরসভার উদ্যোগে এই রাস্তার নামকরণ করা হল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সঙ্গে জলপাইগুড়ি যোগ দীর্ঘদিনের ৷ জলপাইগুড়ি পৌরসভার 'থানা মোড় থেকে বাবুপাড়ার স্বর্গীয় দাজু সেনের বাড়ি পর্যন্ত' রাস্তাটি 'ইস্টবেঙ্গল সরণি' হিসেবে নির্ধারিত করা হল l
বাবুপাড়ার 'ইস্টবেঙ্গল সরণির' ঠিক পাশের রাস্তায় বাড়ি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রাক্তন গোলরক্ষক মণিলাল ঘটকের ৷ 1949-54 মরশুমে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের গোলরক্ষক ছিলেন তিনি। জলপাইগুড়ি শহরে প্রখ্যাত আইনজীবী দুর্গাপ্রসন্ন ঘটকের জ্যেষ্ঠ পুত্র এই মণিলাল ঘটক। ইস্টবেঙ্গলকে এক আলাদা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন এই গোলরক্ষক। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁকে 2010 সালে জীবনকৃতি সম্মানে সম্মানিত করে। উত্তরবঙ্গজুড়ে নতুন প্রতিভা তুলে আনতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ইস্টবেঙ্গল ওয়েলফেয়ার ফুটবল অ্যাকাডেমি। মঙ্গলবার পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় ইস্টবেঙ্গল কর্ম-কর্তাদের কাছে নন রেসিডেন্সিয়াল কোচিং ক্যাম্প গড়ার আবেদন করেন। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, "আমরা অ্যাকাডেমি করতে রাজি আছি যদি জমি পাই। আজ খুব ভালো লাগছে আমাদের যে ইস্টবেঙ্গলের নামে একটি রাস্তার নামকরণ হবে।"
এদিনের এই অনুষ্ঠানে জলপাইগুড়িতে উপস্থিত ছিলেন অ্যালভিটো ডি কুনহো, রহিম নবি, দেবব্রত সরকার-সহ শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল, ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাদ্য়ায়-সহ অন্যান্যরা। এদিনসাউন্ড বক্স বাজিয়ে বাবুপাড়ায় চলল অনুষ্ঠান। যদিও পৌরসভার চেয়ারম্যান পাপিয়া পাল জানান, তাঁরা সাউন্ডবক্স অল্প সাউন্ড দিয়েই বাজিয়েছেন কোনও চোং ব্যবহার করেননি।
আরও পড়ুন: