কলকাতা, 8 অগস্ট: মাদিহা তালাল, সওল ক্রেসপো, শৌভিক চক্রবর্তী এবং মহেশ নওরেম সিং ৷ ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠের এই চতুর্ভূজ যে কোনও প্রতিপক্ষের কাছে দুঃস্বপ্ন হতে চলেছে ৷ মরশুমের সবে বল গড়ানো শুরু হয়েছে ৷ তাতেই ইস্টবেঙ্গল গত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি ঝলমলে ৷ ভারতীয় বায়ুসেনার পরে কাশ্মীরের ডাউনটউন হিরোজের বিরুদ্ধে অনায়াসে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল ৷ ম্যাচের ফল 3-1 ৷ মাদিহা তালালের পাশে লাল-হলুদ স্কোরবোর্ডে নাম সওল ক্রেসপো, জেসিন টিকের। ডাউনটাউনের হয়ে একমাত্র গোল আফরিনের ৷
বুধবার কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে হাজারদশেক দর্শক উপস্থিত ছিলেন ৷ লাল-হলুদ সমর্থকরা শুধু প্রিয় দলের জয়ের আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরলেন না, মরশুমে শেষে ভালো কিছুর আশায় বুক বাঁধলেন ৷ ডাউনটাউনের বিরুদ্ধে লাল-হলুদ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের চিন্তা ছিল দলের চোট-আঘাত। কিন্তু কাশ্মীরের ক্লাব দলের দলের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই মাচের রাশ নিজেদের হাতে রাখে ইস্টবেঙ্গল ৷ প্রথম ম্যাচের পরে দ্বিতীয় ম্যাচেও মাদিহা তালাল অসাধারণ। বল তৈরি করলেন প্রান্ত বদল করে প্রতিপক্ষ রক্ষণকে ধাঁধায় ফেললেন। নতুন মরশুমে ইস্টবেঙ্গল মাঝমাঠের নিউক্লিয়াস সওল ক্রেসপো। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার নিঃশব্দে পুরো দলকে খেলালেন। মাঝমাঠে যদি ক্রেসপোর পায়ে নিয়ন্ত্রণ থাকে, তাহলে রক্ষণের নেতৃত্বে হিজাজি মাহের।
ম্যাচের 23 মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ ফ্রি-কিকে প্রথম গোল ইস্টবেঙ্গলের ৷ সাত মিনিট পরে খেলার গতির বিরুদ্ধে সমতায় ফেরে ডাউনটাউন হিরোজ ৷ কাশ্মীরের ক্লাব দলটিকে সমতায় ফেরান আফরিন ৷ কিন্তু 35 মিনিটে ফের এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল ৷ এবার ক্রেসপোর পাস ধরে পিভি বিষ্ণু বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়লে, তাঁকে ল্যাং মেরে ফেলে দেন ইলাক ফায়াজ ৷ রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিলে, গোল করতে ভুল করেননি ক্রেসপো। বিরতির পরবর্তী 45 মিনিট ছন্দে ছিল লাল-হলুদ ৷ ইস্টবেঙ্গলের তৃতীয় গোল ডেভিডের পরিবর্তে নামা জেসিন টিকে-র। গোল সংখ্যা আরও বাড়ত, যদি না হিজাজি মাহের অন্তত দু'বার গোল করতে ব্যর্থ না হতেন ৷
পরপর দু'ম্যাচে সেরার পুরস্কার মাদিহা তালালের। এবারের লাল-হলুদ একাদশে প্রতিষ্ঠিত চেনা বিদেশির পাশে বেশ কয়েকজন দেশীয় প্রতিভা রয়েছেন, যাঁরা ভবিষ্যতের পুঁজি ৷ জেসিন টিকে, আমন সিকে, আজাদ শামিম নিজের দিনে প্রতিপক্ষকে বেকায়দায় শুধু ফেলতে পারেন না দর্শকদের জন্য মনোরঞ্জন করা ফুটবল উপহার দিতে পারেন। যা বুধ সন্ধ্যায় সাক্ষী রইল কিশোরভারতী।
এএফসি ম্যাচ ও ডার্বির আগে ইস্টবেঙ্গলের অনায়াস জয় কার্লেস কুয়াদ্রাতের হাসি চওড়া করল। দলের দুই বিদেশি স্ট্রাইকার দিয়ামানতোকোস এবং ক্লেটন সিলভা চোটের জন্য নামেননি। তাতেও অনায়াসে জয় তুলে নিতে ইস্টবেঙ্গলকে বেগ পেতে হল না। যা স্বস্তি দেবে কোচ কুয়াদ্রাতকে।