নয়াদিল্লি, 5 ফেব্রুয়ারি: আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা, পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো 39 পূর্ণ করলেন সোমবার ৷ অর্থাৎ, চল্লিশ ছুঁই ছুঁই গ্রহের অন্যতম সেরা ফুটবলার ৷ যদিও বয়স রোনাল্ডোর কাছে নেহাতই সংখ্যা ৷ ফুটবল মাঠে নিজের তৈরি করা রেকর্ড ও মুহূর্তগুলিকে নিজেই ভাঙছেন আবার গড়ছেন ৷ সবমিলিয়ে রোনাল্ডোকে বলা যেতে পারে, ওল্ড ওয়াইন ইন আ নিউ বোটল ৷
1985 সালের 5 ফেব্রুয়ারি পর্তুগালের মাদেইরাতে জন্ম ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) ৷ তবে সম্ভ্রান্ত নয়, পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জন করতে শৈশবে রাস্তা পরিষ্কারের করতে হয়েছে তাঁকে ৷ তবে, ছোটবেলার ওই কঠিন পরিস্থিতি তাঁকে দিগভ্রষ্ট করেনি ৷ বরং, সেই লড়াইকে জীবনের অঙ্গ করে নিয়েছেন তিনি ৷ সেই কঠিন সময়কে রসদ হিসেবে ব্যবহার করে তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হয়ে উঠেছেন ৷ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো থেকে হয়ে উঠেছে সিআর সেভেন ৷
কিংবদন্তির ফুটবল কেরিয়ারের শুরুটা হয়েছিল পর্তুগালের ক্লাব স্পোর্টিং লিসবন থেকে ৷ 16 বছর বয়সে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলা শুরু করেন ৷ রোনাল্ডোই স্পোর্টিং লিসবনের প্রথম ফুটবলার, যিনি পর্তুগালের হয়ে অনূর্ধ্ব-16, অনূর্ধ্ব-17, অনূর্ধ্ব-18 ও পর্তুগাল-বি দলের হয়ে খেলেছেন ৷ 2002 প্রথমবার জাতীয় দলের জার্সিতে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল পর্তুগিজ মহাতারকা ৷ 2002-03 সাল পর্যন্ত স্পোর্টিং লিসবনের সিনিয়র দলের হয়ে খেলে 28 ম্যাচ খেলে মাত্র 4টি গোল করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোলান্ডো ৷
তবে, সিআর সেভেনের ফুটবল স্কিল বিশ্বের তাবড় ক্লাবগুলির নজর কাড়তে বেশিদিন সময় নেয়নি ৷ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুল, আর্সেনাল এবং ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের নজরে খুব তাড়াতাড়ি চলে এসেছিলেন তিনি ৷ কিন্তু, হীরের পরোখ সঠিক জহুরি করেছিলেন ৷ ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের তৎকালীন ম্যানেজার স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসন তাঁকে পর্তুগাল থেকে নিয়ে আসেন ৷ 2003 সালের জুলাই মাসে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে সই করেন ক্রিশ্চিয়ানো ৷
আর খুব অল্পদিনের মধ্যেই নিজের ফুটবল প্রতিভার সাহায্যে স্যর অ্যালেক্সের প্রিয় শিষ্য হয়ে ওঠেন ৷ রেড ডেভিলসের হয়ে একের পর এক হেডলাইন তৈরি করতে শুরু করেন তিনি ৷ যার পুরোটাই ছিল সিআর সেভেনের ফুটবল দক্ষতায় ৷ তবে, শুরুতেই ম্যান ইউর সাত নম্বর জার্সি তিনি পাননি ৷ নিজের পরিশ্রম এবং প্রতিভার মাধ্যমে স্যর অ্যালেক্স ফার্গুসনের থেকে ঐতিহ্যবাহী '7' নম্বর জার্সি হাসিল করে নেন তিনি ৷ আর তার পরেরটা ইতিহাস, বিশ্ব ফুটবলকে অসংখ্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: