কলকাতা, 19 নভেম্বর: পরের পর্বে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা । তবু রাশ ঢিলে করতে নারাজ সঞ্জয় সেন । সন্তোষ ট্রফিতে মূল পর্বের যোগ্যতামান অর্জনে বাংলার দরকার শুধুমাত্র ড্র । বুধবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে রবি হাঁসদা, চাকু মাণ্ডি, ইসরাফিল দেওয়ানদের প্রতিপক্ষ বিহার ।
প্রথম দু’টো ম্যাচে ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে বাংলা শুধু জয় তুলে নেয়নি । গোলের উৎসবে মেতেছিল । দু’ম্যাচে মোট 11টি গোল করে প্রতিপক্ষের ওপর স্টিম রোলার চালিয়েছে কোচ সঞ্জয় সেনের ছেলেরা । শেষ ম্যাচে বিহারের বিরুদ্ধে স্বাভাবিকভাবেই হালকা মনে নামার কথা । কিন্তু সঞ্জয় সেন বলছেন, চাপ কমলেও রাশ হালকা করা বা আত্মতুষ্ট হয়ে পড়ার কোনও স্থান নেই তাঁর দলের সাজঘরে ।
এই পর্বে তিনটি জয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন তা সম্পূর্ণ করাই পাখির চোখ । যাতে পরের পর্বের প্রতিপক্ষরা বাংলা দলকে সমীহ করতে বাধ্য হয় । টানা তিন ম্যাচের মধ্যে পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোগ নেই । শারীরিক সক্ষমতার চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হচ্ছে । সঞ্জয় সেন বলছেন, সূচি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে লাভ নেই । কারণ সূচি অনেক আগেই জানানো হয়েছিল । তাছাড়া এই সূচিতেই বাকি দলগুলিও খেলছে ।
বিহারের বিরুদ্ধেও ঘর সামলে আক্রমণের ছক বাংলার । টানা খেলার ক্লান্তিকে পাত্তা দিচ্ছে না বাংলা । তাই কোচ বলেছেন রোটেশন পদ্ধতিতে দল সাজানোর ভাবনা নেই । তাঁদের সাজঘরে রোটেশনের মত ভারী শব্দ কিংবা প্রতিটি বিশেষজ্ঞ কোচ নেই । দলগত সংহতিতে ভরসা রেখে বিহার জয়ের কথা বলছেন সঞ্জয় সেন । দলের পরিবর্ত ফুটবলারদের দক্ষতা বাংলার বাড়তি ভরসা । তাঁরা পরিবর্ত নেমেও গোল করছেন । দলের একাধিক ফুটবলারের গোলের মধ্যে থাকায় কোনরকমে জয় নয়, বড় ব্যবধানে জয়ের ভাবনা বাংলা দলে । ফের গোল উৎসবকেই পাখির চোখ করছে তারা ৷