কলকাতা, 1 মার্চ: আজ শুক্রবার রাজ্য আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য সফরকে কেন্দ্র করে চড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ । এ দিন প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করতে দেরি করেনি রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ।
এ দিন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘পাবলিসিটি মাস্টার প্রধানমন্ত্রী লোকসভা নির্বাচনের আগে আবার তাঁর ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করছেন । বাংলার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চায়, বাংলা থেকে 18টি সাংসদ 2019 সালে জিতেছিল তাঁর দল বিজেপি । এই সংসদেরা দিল্লি গিয়ে বাংলার মানুষের হকের টাকা বন্ধ করার জন্য সুপারিশ করেন । আর সেই সুপারিশ মাথায় রেখে আপনি 2 লক্ষ 60 হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছেন । প্রায় 60-65 লক্ষ মানুষকে দু'বছর ধরে 100 দিনের টাকা দেননি । 11 লক্ষ 36 হাজার মানুষকে বাড়ি তৈরির টাকা দেননি । ন্যাশনাল হেলথ মিশনের টাকা আটকে দিয়েছেন । সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকা আটকে দিয়েছেন ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এই বাংলা বিদ্বেষী ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান কর্ণধারের কাছে বাংলার মানুষের আরও একটা প্রশ্ন, আজ কি আপনি সেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে স্টেজ শেয়ার করবেন, যার নাম সিবিআইয়ের এফআইআর লিস্টে আছে ? যাঁর বিরুদ্ধে 20টা এফআইআর আছে । যাঁকে প্রকাশ্য টিভি ক্যামেরায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে । নাকি এই মঞ্চ থেকে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁকে সাসপেন্ড করবেন ? তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে দলের নেতাদের সাসপেন্ড করে আপনার কি হিম্মত আছে, এখানকার বিরোধী দলনেতাকে সাসপেন্ড করার !’’
এ দিন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী তথা মন্ত্রী শশী পাঁজাও প্রধানমন্ত্রীর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন । তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসেছেন তাঁর উদ্দেশ্যে আমাদের দু’টি প্রশ্ন রয়েছে । প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের বঞ্চিত মনরেগা শ্রমিকদের ‘মন কি বাত’ আপনি কি শুনবেন । আপনার সরকার তাঁদের কাজ করানোর পরও টাকা আটকে রেখেছে । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বঞ্চিত শ্রমিকদের ব্যাংক অ্য়াকাউন্টে টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছেন । আপনি এই বঞ্চিত মানুষদের কথা কি শুনবেন !’’
একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘সিবিআই-এর খাতায় পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর রয়েছে । তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস কি দেখাবেন প্রধানমন্ত্রী ! নাকি আসবেন, শুধু ভোটের প্রচারে বড় বড় কথা বলবেন আর ফেরত চলে যাবেন ! রাজ্যে যখন মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কারণে তারা কবে টাকা পাবেন, জবাব দেবেন কি প্রধানমন্ত্রী ?’’
এছাড়া এ দিন এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় একটি প্রচারও শুরু করেছে তৃণমূল ৷ যার নাম ‘আয়ে হো তো বাতা কে যাও’ ৷
আরও পড়ুন: