কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: লক্ষ্য 2026 বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখা ৷ তার প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ জনমতকে পক্ষে রাখতে শাসকদলের হাতিয়ার হতে চলেছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প ৷ বিশেষত, জনমুখী বিভিন্ন প্রকল্পগুলিকে মানুষের সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷
2011 সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার একাধিক প্রকল্প নিয়ে এসেছে ৷ কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, সুবজ সাথীর মতো বিভিন্ন প্রকল্পগুলিকে তুলে ধরা হবে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের তৃতীয়বারের সরকার চলছে ৷ 2011-24 সাল পর্যন্ত মমতার সরকার কী কী কাজ করেছে, তা তুলে ধরবে তৃণমূলের নেতৃত্ব ৷
এই সরকারের উল্লেখযোগ্য প্রকল্পের সাফল্য, কত সংখ্যক মানুষ বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত আছেন, সেই সব তুলে ধরা হবে তৃণমূলের প্রচারে ৷ পাশাপাশি, তৃণমূলের সরকারে তৈরি হওয়া রাস্তাঘাট, পানীয় জল, সেতু নির্মাণে কোথায়-কেমন কাজ করা হয়েছে, তারও বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে ৷ রাজ্যের দুই মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং ব্রাত্য বসুকে এখানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ তাঁদের কাজ হবে, পরিসংখ্যান জোগাড় করে প্রচারের বই তৈরি করা ৷
এই বিষয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, "শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় একটি ড্রাফট তৈরি করেছেন ৷ সেটি আমাকে দিয়েছেন ৷ আমি এখন সেটা নিয়েই কিছু কাজকর্ম করছি ৷ আশা করছি খুব শীঘ্রই বিষয়টি আমি মুখ্যমন্ত্রী বা দলের কাছে হ্যান্ডওভার করে দিতে পারব ৷"
কী আছে এই ড্রাফটে ? সে সম্পর্কে ব্রাত্য বসু বলেন, "2011-24 সাল পর্যন্ত আমরা কী কাজ করেছি, সেই উন্নয়নের ফিরিস্তি বা ফর্দ আমরা দলীয় স্তরে প্রচার করব ৷ সেই জন্যই এই ড্রাফট তৈরি করা হয়েছে ৷ বিধায়ক থেকে শুরু করে, অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের আরও বেশি করে জনগণের কাছে যাওয়ার কথা বলেছেন তিনি ৷"
এর পাশাপাশি, বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূল নেতৃত্ব পরামর্শ দিয়েছে, পাড়ার মোড়ের আড্ডা থেকে চায়ের দোকান, সর্বত্র গিয়ে জনগণের নার্ভ বুঝতে হবে ৷ কিন্তু, শুধু জনসংযোগ নয়, ছাব্বিশের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের কাজই তাঁর অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হতে চলেছে ৷ আর তা ব্রাত্য বসুর কথা থেকেই স্পষ্ট ৷