সন্দেশখালি, 20 ফেব্রুয়ারি: এই নিয়ে তৃতীয়বার ৷ হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ফের সন্দেশখালিতে আটকানো হল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তার আগেই মঙ্গলবার ধামাখালিতে আটকে দেওয়া হয় শুভেন্দু-সহ বিজেপির পাঁচ বিধায়কের প্রতিনিধি দলকে ৷ পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ৷ চলে তুমুল বচসাও ৷ উল্লেখ্য, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে নির্দেশে পরে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে সন্দেশখালিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ৷
বাঁধা পেয়ে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের কাছে শুভেন্দু অধিকারী বারবার জানতে চান, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও, কোন যুক্তিতে তাঁকে আটকানো হচ্ছে ? তখন ওই পুলিশ আধিকারিক শুভেন্দু-সহ অন্যান্য বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশ্যে বলেন, "নতুন করে ধামাখালি ঘাট-সহ সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের আরও বেশকিছু জায়গায় 144 ধারা জারি করা হয়েছে ৷ তাই তাঁদের সন্দেশখালি ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷"
পাল্টা শুভেন্দু যুক্তি দিয়ে ওই পুলিশ আধিকারিকে বলেন, "হাইকোর্টের নির্দেশ এবং প্রশাসনের 144 ধারা দু'টোর মধ্যে পার্থক্য আছে ৷ দুটি বিষয়ই সম্পূর্ণ আলাদা ৷ কোনওটার কারোর সঙ্গে সম্পর্ক নেই ৷ আমাকে আটকে আপনারা সরাসরি হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করছেন ৷ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ থেকে কোনও অর্ডার এখনও অবধি আপনাদের কাছে আসেনি ? তারপরেও বেআইনিভাবে আমাকে আটকাচ্ছেন ৷ একঘণ্টা অপেক্ষা করব, আপনাদের সম্বিৎ ফেরানোর জন্য ৷ তারপরেও কোনও কিছু না হলে, সোজা বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে যাব ৷"
একথা বলার পরেও পুলিশের বেড়াজাল ভেদ করে শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়করা সন্দেশখালির দিকে এগোতে পারেননি ৷ শেষমেশ সন্দেশখালি যেতে না পেরে, দলের পাঁচ বিধায়ককে নিয়ে ধামাখালির রাস্তাতেই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান শুভেন্দু ৷ চলে মমতার বিরুদ্ধে স্লোগানও ৷ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'তানাশাহির'-সরকার বলেও আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা ৷
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু'র সন্দেশখালি সফরের ঠিক আগেই নতুন করে 12টি জায়গায় 144 ধারা জারি করেছে প্রশাসন ৷ সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের ত্রিমণি বাজার, খুলনা ঘাট, ধোলাখালি ঘাট, সন্দেশখালি ঘাট, পাত্র পাড়া, ধামাখালি ঘাটে 144 ধারা জারি করেছে ৷
আরও পড়ুন: