কলকাতা, 26 মার্চ: পিংলার বিজেপিকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে মৃতের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় । মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মৃতের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজভবনে প্রবেশ করেন শুভেন্দু অধিকারীরা ।
প্রায় দেড় ঘণ্টা বাদে রাজভবন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "পিংলার ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীকে খুন করা হয়েছে । প্রথমে এফআইআর নিতে রাজি হয়নি পুলিশ । পরে বিক্ষোভের জেরে এফআইআর নেওয়া হয়েছে । আজ পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে বলা হয়েছে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে । কিভাবে ধানজমিতে ডুবে মরলো ?"
শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, "ক্যানিং-এর বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়েছে । তৃণমূলের দুষ্কৃতি বাহিনী বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছে । এখন তিনজন কর্মী হাসপাতালে ভরতি । কোনও এফআইআর হয়নি । কাউকে গ্ৰফতার করা হয়নি । এখানে জঙ্গল রাজ্য চলছে। নব নিযুক্ত ডিজি-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে । আরিজ আফতাব অভিযোগ আমল দেয়নি। রাজ্যপালকে জানালাম ।’’
শুভেন্দুর আরও দাবি, ‘‘অন্য রাজ্য থেকে স্পেশাল পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হোক । ক্যানিং ভিজিট করবেন কি না, জানি না ৷ খোঁজ নিচ্ছেন । শান্তনু ঘোড়াই-এর বাড়িতে যাবেন পরিবারের দায়িত্ব নেবেন ৷ বাচ্চার পড়াশুনা দেখবেন রাজ্যপাল ৷ ভোট মিটলেই সেই দায়িত্বে নেবেন ।"
পিংলার মৃত বিজেপি কর্মীর মা পদ্মবতী ঘোড়াই বলেন, "আমার ছেলে বিজেপি করতে সেই অপরাধে আমার ছেলেকে খুন করেছে তৃণমূলের লোকেরা । আমরা জানালাম রাজ্যপালকে । রাজ্যপাল আমাদের পাশে থাকবেন বলেছেন । ছেলের সমস্ত দায়িত্ব নেবেন বলেছেন । আমরা খুব আতঙ্কে রয়েছি । বিজেপির হয়ে কাজ করত বলেই আমার ছেলেকে মারা হয়েছে ।"
বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ফোনালাপ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আমি নন্দীগ্রাম থেকে বলছি, চোর তৃণমূল । নারী নির্যাতনের শাহজাহানের দল । একজন দাড়ানোর সুযোগ পাবেন । একটা কথা, মা দুর্গা অসুর বধের একমাত্র সাধন । বাড়িতে বাবা মা ছিল না । পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের জন্য এই ঘটনা ঘটছে ।"
আরও পড়ুন: