দার্জিলিং, 1 মার্চ: লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী শিবিরে ভাঙন । অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দিলেন বিজেপি, হামরো পার্টি ও নির্দলের একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য । 2023 সালে প্রায় এক যুগের বেশি সময় পর পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় । বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির দখল নেয় অনিত থাপার বিজিপিএম । তবে বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি বিজেপি ও হামরো পার্টির দখলে ছিল । কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই একে একে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বিজিপিএমে যোগ দিতে শুরু করেন ।
শুক্রবার বিরোধীদের আট পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দেন অনিত শিবিরে । তার ফলে মহানদী গ্রাম পঞ্চায়েত, শিবখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত, মনদাণ্ডা পঞ্চায়েত সমিতি বিরোধীদের থেকে বিজিপিএমের দখলে চলে যায় । দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানদী গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুমতি চা বাগানের সদস্য সজিত দার্নাল, জঙ্গপানা চা বাগানের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা রঞ্জনা ছেত্রী বিজিপিএমে যোগ দেন । পাশাপাশি শিবখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপাহিধুরা চা বাগানের নির্দলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য উপেন্দ্র রাই বিজেপিতে যোগ দেন । অন্যদিকে, রঙ্গলি রঙ্গলিয়ত ব্লকের গ্লেনবার্ন সমষ্টির মনদাণ্ডা পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য রাজেশ সুব্বা, মনদাণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের হামরো পার্টির সদস্যা রশনি তামাং, সিঙ্গরিতাম গ্রাম পঞ্চায়েতের হামরো পার্টির পঞ্চায়েত সদস্যা প্রজিতা চামলিং, লামাহাটার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা বিজেপির সুস্মিতা শেরপা, রঙ্গচঙ্গ গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রশ্নি রাই বিজিপিএমে যোগ দেন । পাশাপাশি এদিন সুকনা 2 নম্বর পঞ্চায়েতের 40টি পরিবার এদিন অনিত শিবিরে যোগ দেয় ।
অনিত থাপা বলেন, "ধমকে চমকে নয় । পাহাড়ে এখন উন্নয়ন হচ্ছে । এখন তা দেখেই মানুষ আমাদের সঙ্গ দিচ্ছে । পাহাড়ে উন্নয়নই এখন মূল লক্ষ্য । যারা যোগ দিয়েছেন, তাঁদের স্বাগত । প্রত্যেককে বলা হয়েছে মানুষের পাশে থাকতে ।"
হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড বলেন, "এখন পাহাড়েও ঘোড়া কেনাবেচার রাজনীতি শুরু হয়েছে । প্রলোভন দেখিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের যোগ দেওয়ানো হচ্ছে । কিন্তু যারা গিয়েছে তাতে দলে কোনও প্রভাব হবে না ।"
আরও পড়ুন: