কলকাতা, 28 মার্চ: ইতিমধ্যেই বিধানসভার উপনির্বাচনের 2 আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রার্থী ঘোষণা তো দূর, নির্দিষ্ট করে প্রার্থীর নামও জানাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস । তবে তৃণমূলের অন্দরে বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে জোরদার আলোচনা চলছে । যা শুধু চিত্তাকর্ষক নয় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণও ।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে না-পেরে রীতিমতো মুষড়ে পড়েছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় । প্রকাশ্যে দলের সমস্ত পথ থেকে সরে দাঁড়ানোর একটা চিঠিও দিয়েছিলেন । প্রকাশ্য সংবাদ মাধ্যমে এ-ও বলেছিলেন যে, তিনি অভিমানী । পরে অবশ্য তাঁর এই চিঠির সত্যাসত্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে । দলের তরফ থেকে এ ধরনের চিঠির প্রাপ্তি নিয়েও অস্বীকার করা হয় । তাৎপর্যপূর্ণভাবে এর পর থেকেই মুখে কুলুপ আঁটেন অভিনেত্রী । এ বার যখন বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রার্থী খোঁজার কথা বলা হচ্ছে, তখন আলোচনায় আরও একবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন এই সায়ন্তিকাই । এমনটা বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছে যে, বরানগর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে । একইসঙ্গে, স্থানীয় এক নেতার নামও আলোচনায় রয়েছে বলে খবর । আলোচনায় রয়েছেন আরও এক সেলিব্রেটি । যদিও তিনি কে প্রকাশ্যে সে নাম নিয়ে মুখ খুলছে না তৃণমূল ।
অন্যদিকে, প্রয়াত ইদ্রিস আলির আসনে উপনির্বাচনে আরও একবার মুর্শিদাবাদের মান্নান হোসেনের পুত্রের নাম শোনা যাচ্ছে । ইতিমধ্যেই তাঁর এক পুত্র শমীক হোসেন বিধায়ক। আরেক পুত্র রাজীব হোসেনের এ বার শিকে ছিঁড়তে পারে বলেই খবর ।
মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে সাম্প্রতিক সময় যথেষ্ট আলোচিত নাম এই রাজীব । লোকসভা নির্বাচনেও তাঁর নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে একমাত্র বদল হিসাবে চমক দিয়ে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এবং প্রাক্তন কেকেআরের সদস্য ইউসুফ পাঠানকে বহরমপুর আসনে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । আর সেখান থেকেই আলোচনা চলছে যে, রাজীব হোসেনের নাম ইদ্রিস আলির ছেড়ে যাওয়া আসনে মনোনীত হবেন । তবে দলের শেষ সিদ্ধান্ত নেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই । ফলে আলোচনায় যে নামগুলি রয়েছে, তার মধ্যে থেকে বা তার নিজের মতো করে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন তিনিই । এই অবস্থায় এটাই দেখার যে, শেষ পর্যন্ত অভিমানী সায়ন্তিকা আর রাজনৈতিক পরিবারের থেকে উঠে আসা রাজীবের বিধায়ক প্রার্থী হিসেবে উপনির্বাচনে জায়গা হয় কি না ।
আরও পড়ুন: