সন্দেশখালি, 10 ফেব্রুয়ারি: 144 ধারা জারির মধ্যেই অশান্ত সন্দেশখালিতে বিজেপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল ৷ তবে তাঁদের সন্দেশখালি থেকে বেশ কিছুটা দূরেই আটকে দিল পুলিশ ৷ যে ঘটনাকে ঘিরে বসিরহাটের এসডিপিও'র সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতানেত্রীরা ৷ তাঁদের আটকাতে এ দিন ব়্যাফ ও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল ৷ অন্যদিকে, শুক্রবারের অশান্তির পর রাতভর সন্দেশখালিতে পুলিশের বিরুদ্ধে বাড়িতে ঢুকে অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে ৷
শনিবার দুপুর 12টা নাগাদ বিজেপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল আকুঞ্জি ও লস্কর পাড়া মেন রোড হয়ে এগোনোর চেষ্টা করে সন্দেশখালির দিকে ৷ যদিও দুই রাস্তার সংযোগস্থলে আগে থেকেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল ৷ ফলে বিজেপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালিতে ঢুকতে পারেনি ৷ বিজেপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি সঞ্জয় সিং, রাজ্য কমিটির দুই সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় ও অর্চনা মজুমদার এবং বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস ঘোষ ৷
অন্যদিকে, পুলিশের তরফে বসিরহাটের এসডিপিও আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে ৷ তিনি বিজেপি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রথমে কথা বলেন ৷ 144 ধারা জারি থাকায় তাঁদের ফিরে যেতে অনুরোধ করেন ৷ কিন্তু পুলিশের তরফে বাধা পেয়ে বচসা শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে ৷ বিজেপি অর্চনা মজুমদার এবং কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় এসডিপিও'র সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ৷
বিজেপির তরফে এসডিপিও'কে বলা হয়, তাঁরা চারজনের বেশি ঢুকবেন না এলাকায় ৷ আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেই শান্তিপূর্ণভাবে বেরিয়ে আসবেন সেখান থেকে ৷ কিন্তু, কোনও আবেদন-নিবেদনে গুরুত্ব দেননি এসডিপিও আমিনুল ইসলামকে ৷ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, 144 ধারা জারির মধ্যে কোনওভাবেই তাঁদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না সন্দেশখালিতে ৷ এতে অশান্তি আরও বাড়তে পারে ৷ বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আটকাতে ব্যারিকেডের পাশাপাশি, ব়্যাফ ও মহিলা বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল ৷
অন্যদিকে, তল্লাশির নামে রাতের অন্ধকারে সন্দেশখালির খুলনা পঞ্চায়েতের শিতলিয়া গ্রামে গ্রামবাসীদের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ মহিলাদের শ্লীলতাহানি ও একটি বাচ্চাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মদ্যপ পুলিশ আধিকারিকে বিরুদ্ধে ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, গ্রামের একাধিক বাসিন্দার ঘরে ঢুকে পুলিশ সেখানে লুটপাঠ, ভাঙচুর চালিয়েছে ৷ ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সত্যজিৎ সান্যাল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা সফিকুল গাজির বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, তাঁদের ইন্ধনেই পুলিশ গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে ৷ যদিও, এ নিয়ে প্রশাসনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ৷
আরও পড়ুন: