কৃষ্ণনগর, 2 মার্চ: আরামবাগের পর কৃষ্ণনগরের সভা থেকেও প্রত্যাশামতো তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ বঙ্গ সফরের দ্বিতীয়দিন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে মোদির গলায় ঝাঁঝ ছিল আরও বেশি ৷ তবে আরামবাগে যেভাবে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম করে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে, তা অবশ্য শনিবার শোনা গেল না মোদির গলায় ৷ এদিন মূলত রাজ্যের শাসকদলকেই নিশানা করে সরাসরি মোদিকে বলতে শোনা গিয়েছে, "অত্যাচার আর বিশ্বাসঘাতকতার আরেক নাম তৃণমূল ৷"
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "বাংলার উন্নয়ন নয়, বরং পরিবারবাদ আর দুর্নীতির আখড়া হয়ে গিয়েছে তৃণমূল ৷ তৃণমূল মানে পরিবারবাদ, দুর্নীতি আর বিশ্বাসঘাতকতা ৷" সম্প্রতি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কল্যাণীতে এইমস-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ৷ সেই প্রসঙ্গও এদিন উঠে এসেছে মোদির কথায় ৷ কল্য়াণী এইমসের জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছিল ৷
সেই সূত্রকে সামনে এনে মোদি বলেন, "রাজ্যকে এইমস দেওয়ার গ্যারান্টি দিয়েছিলাম ৷ আমার বাংলার মানুষ বুঝলেন, মোদির গ্যারান্টি মানে গ্যারান্টি পূর্ণ হওয়ার গ্যারান্টি ৷ কিন্তু কল্যাণীতে এইমস হওয়া রাজ্য সরকারের খুব অসুবিধা হয়েছে ৷ তারা বলছে এর জন্য অনুমতি কেন নেওয়া হয়নি ! পুরো রাজ্যে তৃণমূলের তোলবাজ, ভূমি মাফিয়া, দুর্নীতিবাজদের জন্য খোলা পারমিশন রয়েছে ৷ আর এইমসের জন্য বলছে পারমিশন কোথায় ?" এরপরই তিনি বলেন, "প্রথমে কমিশন, তারপর পারমিশন ৷"
এদিনও প্রধানমন্ত্রীর গলায় উঠে এসেছে সন্দেশখালি প্রসঙ্গও ৷ এদিন তিনি বলেন, "তৃণমূল মা-মাটি-মানুষের স্লোগান দিয়ে এখানকার মানুষের ভোট নিয়েছিল ৷ তৃণমূল সরকার বাংলার মহিলাদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করেছে। আর আজ মা-মাটি-মানুষ সকলেই তৃণমূলের কুশাসনে কাঁদছে ৷ সন্দেশখালির মহিলারা বিচারের জন্য দরবার করেছিল, রাজ্য সরকার তাদের কথা, তাদের আর্জি শোনেনি ৷ এখানে পুলিশ না, বরং অপরাধী নিজেরা ঠিক করে সে কবে, কখন ধরা দেবে ৷ রাজ্য সরকার তো চায়নি যে সন্দেশখালির অপরাধি কোনওদিন গ্রেফতার হোক ৷ কিন্তু এখানকার মহিলারা দুর্গা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ৷ শেষ পর্যন্ত তাদের সামনে রাজ্য সরকারকে ঝুঁকতে হয়েছিল ৷"
আরও পড়ুন: