জলপাইগুড়ি, 5 এপ্রিল: মোদির গ্যারান্টি৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখে বারবার এই কথা শোনা গিয়েছে গত কয়েকমাসে ৷ সেই ‘গ্যারান্টি’রই পালটা জবাব শুক্রবার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ এ দিন জলপাইগুড়ির এক নির্বাচনী জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘মমতার গ্যারান্টি মোদির মতো মিথ্যাচার নয় ৷’’
জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস এবার প্রার্থী করেছে নির্মলচন্দ্র রায়কে ৷ যিনি মাস কয়েক আগেই ধূপগুড়ি বিধানসভার উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ৷ এ দিন জলপাইগুড়িতে নির্মলচন্দ্র রায়ের সমর্থনে প্রচার সভা থেকে একাধিক ইস্যুতে মমতা তোপ দাগেন কেন্দ্রের মোদি সরকার ও বিজেপির বিরুদ্ধে ৷ বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিলে, তা পালন করে না বলেও বারবার অভিযোগ করেন তিনি ৷ পাশাপাশি তিনি দাবি করেন যে তাঁর দল বা সরকার সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালন করেন ৷ আর সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় ‘মমতার গ্যারান্টি’র কথা ৷
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি কোনোদিন মানুষকে ঠকাই না ৷ আমি মনে করি কথা দিয়ে কথা রাখাটা কাজ ৷ মানুষকে ঠকানোর থেকে আমার মৃত্যু হওয়া ভালো ৷ আমি যা বলি, সেটা করি৷ এবং যেটা বললাম, আজীবন সেটা করে যাব ৷ তার কারণ, মমতার গ্যারান্টি মোদির গ্যারান্টির মতো মিথ্যাচার নয় ৷’’ কেন মিথ্যাচার নয়, সেই ব্যাখ্যাও এর পর দেন তৃণমূল নেত্রী ৷ তিনি বলেন, ‘‘মমতার গ্যারান্টি মমতা নয়, মা-মাটি-মানুষ ৷ এটা হচ্ছে মানুষের ৷ আমি আমার প্রচার চাই না ৷ আমি মা-মাটি-মানুষের প্রচার চাই ৷ মা-মাটি-মানুষ ভালো থাকুন ৷’’
ওই সভার মঞ্চ থেকে বিজেপি ও মোদির গ্যারান্টির ব্যাখ্যা দেন মমতা ৷ তাঁর দাবি, সংবিধান ভেঙে দেওয়া, আম্বেদকর-গান্ধিজিদের নাম ভুলিয়ে দেওয়া, দেশ ভেঙে টুকরো করে দেওয়া হল মোদির গ্যারান্টি ৷ মমতার কথায়, ‘‘আমরা কাজ করি আর এরা ভাষণ দেয় ৷’’ সিএএ-র মাধ্যমে এনআরসি করার ছক বিজেপি কষছে বলে আবার অভিযোগ করেন মমতা ৷ তাঁর অভিযোগ দেশের মানুষকে বিদেশি বানাতে চায় বিজেপি ৷ তাই তিনি স্লোগান তুলেছেন, ‘‘লড়ব, করব, জিতব আর বিজেপিকে হারাবো ৷’’
পাশাপাশি আবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছেন ৷ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্যের বরাদ্দ আটকে রাখার অভিযোগ তুলেছেন ৷ সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, ‘‘...মোদিবাবু বলুন, আপনি 355টা টিম বাংলাকে বেইজ্জত করার জন্য পাঠিয়েছেন ৷ তার পরও তিনবছর একশো দিনের কাজের টাকা আমাদের কেন নেই ? আমরা এক নম্বরে ছিলাম ভারতবর্ষে ৷ হিংসা ?’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘গ্রামীণ আবাস যোজনায় তিন বছর ধরে বাড়ি দেয় না ৷ আমরা 42 হাজার বাড়ি আগে করে দিয়েছি ৷ আর 11 লক্ষ বাড়ির তালিকা দিয়েছি ৷’’ মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, বাংলার দেওয়া তালিকা নিয়ে বিজেপি থেকে ফোন করা হচ্ছে ৷ সেখানে নাম নথিভুক্ত করার জন্য বলছে ৷
আরও পড়ুন: