বনগাঁ, 10 মে: নিয়োগ বিতর্কে এবার নাম জড়াল তৃণমূলের রাজ্য সভার সাংসদ মমতা ঠাকুরের। নিজের ছোট মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এমনকী এক্ষেত্রে কোনও নিয়ম সাংসদ মানেননি বলেও অভিযোগ।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা ঠাকুরের মেয়ের নিয়োগপত্র তুলে ধরে এমনই দাবি করেছেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মমতা ঠাকুর। এদিন বনগাঁর মতিগঞ্জ এলাকায় নিজের বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন দেবদাস মণ্ডল। সেখানে মমতা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের নিয়োগপত্র তুলে ধরেন দেবদাস। অভিযোগ তোলেন, তৃণমূল সাংসদ মমতা ঠাকুর তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে মেয়েকে অস্থায়ী নিয়োগ করেছেন বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ৷
দেবদাস মণ্ডল বলেন, "চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের এক তারিখে মমতা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে অস্থায়ীভাবে হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ইউনিভার্সিটিতে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মানা হয়নি। বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়নি। মমতা ঠাকুর সম্পূর্ণ তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে মেয়ের নিয়োগ করিয়েছেন।" বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যাবেন বলেও জানিয়েছেন দেবদাস ৷ এমনকী সিবিআই তদন্তের দাবিও করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনার পিছনে অবশ্য বিজেপির রাজনীতি দেখছেন মমতাবালা ঠাকুর। তিনি বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা বলেন, "আমি প্রভাব খাটালে আমার মেয়ে সরকারি চাকরি পেত। হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয় আমার মেয়ে বিনা বেতনে কাজ করে। সেটা নিয়ে কেউ যদি তদন্ত করতে চায়, করতেই পারে।" হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আনন্দী বাগচী ফোনে জানিয়েছেন, তিন মাসের জন্য মধুপর্ণা ঠাকুরকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। যেহেতু স্থায়ী নিয়োগ করা হয়নি, সেহেতু এই নিয়োগ অবৈধ নয় বলেও জানান তিনি। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন
সন্দেশখালিতে ধর্মীয় পরিচয়ের নিরিখে অত্যাচারের শিকার মহিলারা, দাবি অমিতের