কলকাতা, 22 এপ্রিল: এসএসসি নিয়ে আজ গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । যা নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক মহলে হইচই পড়ে গিয়েছে । আর এর মাঝেই তৃণমূল নেতৃত্বের কথায় হাইকোর্ট এবং বিজেপির যোগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত । কয়েকদিন আগেই চলতি সপ্তাহে বোমা ফাটার কথা বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । বলেছিলেন এই বোমায় বেসামাল হয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস । তারপরেই আজ ডিভিশন বলছে গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় হাইকোর্ট । এদিন তারই সমালোচনা করতে গিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথাতেও সেই শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের রেশ পাওয়া গেল । শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যকে সামনে রেখে তিনি এই নিয়ে খোঁচা দিতেও ছাড়লেন না ।
সোমবার 28 নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে যোগ দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ । প্রচার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, "এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক রায় । আমি আদালতের সমালোচনা করছি না । তবে রায় দুর্ভাগ্যজনক । যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, তাদের শাস্তি দেওয়া হোক । যারা দোষী তারা তদন্তের মধ্যে পড়ুন, তাদের শাস্তি হোক । কিন্তু যারা যোগ্য প্রার্থী-সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে তাদের চাকরির দরজা খুলে দেওয়ার । আমরা কখনওই দুটো বিষয়কে মেশাতে চাইনি । যারা অন্যায় কাজ করেছে তারা অন্যায় করেছে । পাপ করেছেন আমরা তার নিন্দা করছি । আমরা বারবার বলেছি যারা যোগ্য প্রার্থী, যাদের কোনও ভুল নেই, তাদের জন্য যেন চাকরির দরজা বন্ধ না হয় । রাজ্য সরকার এই মর্মে তাদের ভাবনার কথা হাইকোর্টকেও বারবার জানানোর চেষ্টা করেছে । কিন্তু যেভাবে সকলের জন্য নিশ্চয়তা তৈরি করা হল এবার আইনজীবীরা ঠিক করবেন এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন কিনা ! সেটা আমার বলার এক্তিয়ার নেই ।"
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বোমা ফাটানোর প্রসঙ্গ কুণাল ঘোষের সামনে উঠতেই তিনি বলেন, "আমি জানি না উনি কী বলেছিলেন । যদি কোনও বিজেপি নেতা এই রায় প্রসঙ্গে আগাম পূর্বাভাস দেন, আর এর পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে দেখা যায় আদালতে কোনও রায় হচ্ছে । যদি এখানে যোগসূত্র কেউ খুঁজে পায়, তাহলে তো অন্যায় করা হবে না । যদি এমন হয় তাহলে বলতে হয় নয় বোমাটা বিজেপি অফিস থেকে বেঁধে হাইকোর্ট এসেছে অথবা হাইকোর্ট থেকে বেঁধে বিজেপি অফিসে পাঠানো হয়েছে । দুটোর মাঝামাঝি তো কিছু হতে পারে না ।"
আরও পড়ুন :