কলকাতা, 10 এপ্রিল: সন্দেশখালিতে মহিলাদের উপর নির্যাতন, জমি জবর দখলের মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তারপরেই এবার বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ আজ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদাহরণ টেনেছেন এই প্রসঙ্গে ৷
কুণালের অভিযোগ, "বিচারপতিদের মধ্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিত, সরকার বিরোধী মনোভাব কাজ করছে ৷ আদালতের প্রতি, বিচার ব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ সম্মান, আস্থা রেখেও বলতে চাই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন, আদালতের মধ্যে সরকার বিরোধী, তৃণমূল বিরোধী, বিজেপি পন্থী মনোভাব কাজ করছে ৷ কেউ হয়তো জনসমক্ষে সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলার জন্য রায় দিচ্ছেন, অবজারভেশন দিচ্ছেন ৷ এটা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রমাণ করে গিয়েছেন ৷ "
এখানেই শেষ নয় ৷ কুণালের দাবি, "এক্ষেত্রে আমরা একটা কথা বলব, আইন আইনের পথে চলবে ৷ প্রশাসন প্রশাসনের কথা বলবে ৷ তার পাশাপাশি এটাও বলব একজন অভিজিৎ সরাসরি ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন ৷ আরও দুই-একজন ওয়েটিং লিস্টে কোর্টে আছেন কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে ৷"
তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অবশ্য কুণালের মতো সরাসরি বিচারপতিদের অভিপ্রায় নিয়ে প্রশ্ন তুললেন না ৷ বরং রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্যের উলটো সুরে কথা বললেন চন্দ্রিমা ৷ সন্দেশখালি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নিয়ে তিনি বলেন, "এক্ষেত্রে আইন আইনের পথে চলবে ৷ আমরা কোনওভাবেই যাঁরা দোষী, তাঁদের আড়াল করতে চাইছি না ৷ সমর্থনও করছি না ৷ আগে তো ইডিকে তদন্তের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৷ এদিন সিবিআইকে দেওয়া হল ৷ এতে আর নতুন কি আছে ! যদি কেউ অন্যায় করে থাকেন, তাঁর শাস্তি হোক ৷ এই নিয়ে আমরা কখনও কাউকে সমর্থন জানাইনি ৷ আগামীতেও জানাব না ৷"
আজ সন্দেশখালি-কাণ্ডে সিবিআইকে সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, সিবিআই-কে পোর্টাল তৈরি করতে হবে ৷ অভিযোগ নেওয়ার জন্য ই-মেল আইডি তৈরি করতে বলেছে আদালত ৷ জমি দখল, ধর্ষণ, চাষের জমি ভেড়িতে পরিবর্তন করা-সহ সমস্ত অভিযোগ সেই ই-মেল আইডিতে করা হবে ৷ আদালতের নজরদারিতে পুরো তদন্ত করবে সিবিআই ৷
আরও পড়ুন: