কলকাতা, 29 এপ্রিল: বড়বাজার এলাকার অগ্নিকাণ্ড দেখতে যাওয়া নিয়ে কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়কে সকালেই ইডি তল্লাশির খোঁচা দিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার তল্লাশি নিয়ে সাম্প্রতিক অতীতের কথা মনে করিয়ে পালটা নজিরবিহীন আক্রমণ করলেন তাপস রায়। সবমিলিয়ে তাপস-ববির তরজায় ঘিরে নতুন করে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
নারদ কাণ্ডে একসঙ্গে কলকাতার তিন মেয়েরকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। অধুনা প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়, শোভন চট্টোপাধ্য়ায় ও ফিরহাদ হাকিমকে নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় একইদিনে। তাঁদের সঙ্গে তৃণমূলের আরও এক বড় নেতা মদন মিত্রও গ্রেফতার হন। এই চারজনকে গ্রেফতার করায় কলকাতায় সিবিআইয়ের সদর দফতর নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের এমন কার্যকলাপের তুমুল বিরোধিতাও করেন তিনি। পরবর্তী সময় পৌর নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একাধিক বার ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চলে। সেই সমস্ত মনে করিয়ে এদিন কলকাতার মেয়রকে নজিরবিহীন আক্রমন করেন তাপস।
তিনি বলেন, "ববির বাড়িতে কত বার তল্লাশি হয়েছে ? আমার বাড়িতে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি পাঠিয়েছিল ৷ পার্টিও চুপ ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চুপ ছিলেন। মমতা শেখ শাহজাহানের হয়ে গলা ফাটিয়েছেন। কিন্তু আমার হয়ে কোনও কথা বলেননি।" এরপরই সরাসরি ফিরহাদ হাকিমকে নিশানা করে তাপস রায় বলেন, "ফিরহাদ হাকিম এক সময়ে টিকিট না পাওয়ায় নিজের দলবল নিয়ে গিয়ে মমতার ঘরের টালিতে ঢিল ছুঁড়েছিলেন। নারদকাণ্ডে শুভেন্দু বক্তব্যকে ঢাল করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এই সব ভুলে গেলে হবে না।" এরপর তিনি আরও বলেন, " ফিরহাদ হাকিমের মতো অপদার্থ মেয়র আমি আর দেখিনি। ওর সময়কালে কলকাতাজুড়ে অনেক বেশি বেআইনি নির্মাণ হয়েছে। রমজান মাসে গার্ডেনরিচ বেআইনি নির্মাণ ভেঙে 13 জন মারা গিয়েছেন। ওঁর বড় বড় কথা না বললেই ভালো।"
আরও পড়ুন
চাকরি বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল, 'সম্পূর্ণ জালিয়াতি হয়েছে' পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আপাতত নোটিশ জারি নয়, ভূপতিনগর নিয়ে নির্দেশ হাইকোর্টের