সোনারপুর, 23 মার্চ: কয়েক বছর আগে শিবপুজো সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সায়নী ঘোষ ৷ তিনি অবশ্য তখন রাজনীতিতে ছিলেন না ৷ কিন্তু রাজনীতিতে যোগদানের পর সেই বিতর্ক কখনোই পিছু ছাড়েনি সায়নীর ৷ যদিও সেই সব বিতর্ককে পিছনে ফেলে শনিবার প্রচার শুরুর আগে শিবমন্দিরে গিয়ে পুজো দেন যাদবপুর লোকসভা আসনের প্রার্থী সায়নী ঘোষ ৷ পরে জানান, পুজো দিয়ে সকলের মঙ্গল প্রার্থনা করেছেন ৷
এ দিন দক্ষিণ 24 পরগনার রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার 30 নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি ৷ সেখানেই তিনি শিবমন্দিরে পুজো দেন ৷ তাঁর সঙ্গে প্রচারে ছিলেন সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, সাংগঠনিক প্রধান নজরুল আলি মণ্ডল-সহ তৃণমুল কর্মীরা ।
প্রচারের মাঝে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী বলেন, ‘‘আমরা কথা দিই না ৷ কথা রাখি ৷ মানুষ আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উন্নয়নের জন্য ভোট দেবেন ৷ তার থেকে বড় কথা একটি বিভেদকামী, বঞ্চনাপ্রবণ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ লড়াই করছে ৷ লড়াইটা সরাসরি দিদি আর মোদির বিরুদ্ধে হচ্ছে ৷ পশ্চিমবঙ্গে মোদির গ্যারান্টি বলে কিছু নেই ৷ যদি মানুষের কোনও ভরসা থাকে, সেটা হল দিদির গ্যারান্টি ৷’’
যাদবপুর লোকসভা আসন বরাবর বাম দুর্গ হিসেবে পরিচিত ৷ 1984 সালে সেই বামদুর্গে প্রথমবার ফাটল ধরিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ হারিয়েছিলেন সিপিএমের সোমনাথ চট্টোপাধ্য়ায়কে ৷ পরে আবার দুর্গ পুনরুদ্ধার করে সিপিএম ৷ এর পর 1996 সালে এই কেন্দ্র থেকে সিপিএমকে হারান কংগ্রেসের কৃষ্ণা বসু পরে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন ৷ 1998 ও 1999 সালে তিনি তৃণমূলের টিকিটে ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন ৷
2004 সালে যাদবপুর আবার তৃণমূলের হাতছাড়া হয় ৷ সেবার জয়ী হন সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী ৷ কিন্তু 2009 সাল থেকে এই কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে রয়েছে ৷ কিন্তু কোনোবারই সাংসদকে আবার টিকিট দেয়নি তৃণমূল ৷ 2009 সালে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন কবীর সুমন ৷ 2014 সালে এখান থেকে জেতেন সুগত বোস ৷ 2019 সালে এই কেন্দ্র থেকে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী জয়ী হন ৷
এবার ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে সায়নী ঘোষকে ৷ প্রচারে বেরিয়ে তাঁকে তৃণমূলের তিন সাংসদের নামে বিস্তর অভিযোগ শুনতে হচ্ছে, তাঁদের দেখাই মেলেনি বলে অনেকে অভিযোগ করছেন ৷ তার জবাবে সায়নী ঘোষের উত্তর, ‘‘কাকে পাওয়া যায়নি, সেটা আমার দেখার বিষয় নয় ৷ কিন্তু সায়নী ঘোষ তিন বছর ধরে রাজনীতি করছে ৷ যাদবপুরের মানুষের এটুকু ভরসা রয়েছে যে সায়নী ঘোষকে তাঁরা 24 ঘণ্টা তাঁদের পাশে পাবেন ৷’’
আরও পড়ুন: