নয়াদিল্লি, 27 মার্চ: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদনের শুনানি হবে আগামিকাল বুধবার ৷ দিল্লি হাইকোর্টে ওই শুনানি হবে ৷ দিল্লির আবগারী দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে ইডি ৷ সেই গ্রেফতারিকে বেআইনি বলে দাবি করেছেন কেজরিওয়াল ৷ সেই নিয়েই তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি ৷ তাই গ্রেফতারি ও ট্রায়াল কোর্টের নির্দেশকে খারিজ করার আবেদন কেজরিওয়াল করেছেন দিল্লি হাইকোর্টে ৷ আদালতে গ্রেফতারি ও রিমান্ড আদেশ দু’টিই বেআইনি বলে দাবি করা হয়েছে । তাই তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন কেজরিওয়াল ৷
গত শুক্রবার (23 মার্চ) দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট কেজরিওয়ালকে 28 মার্চ পর্যন্ত ইডি হেফাজতে পাঠায় ৷ তার বিরুদ্ধে গত শনিবার (24 মার্চ) দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করা হয় কেজরিওয়ালের তরফে ৷ জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করা হয় ৷ রবিবার শুনানির জন্য আবেদন করা হয় ৷ কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয় দিল্লি হাইকোর্টের তরফে ৷ বদলে শুনানির দিন ধার্য করা হয় 27 মার্চ (বুধবার) ৷ বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মার বেঞ্চে সকাল সাড়ে দশটায় ওই শুনানি শুরু হবে ৷
দিল্লির আবগারী দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেশ কয়েকটি নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি ৷ প্রতিবারই তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান ৷ শেষে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৷ ইডির সমন বেআইনি বলে দাবি করেন ৷ কিন্তু আদালত তাঁকে রক্ষাকবচ দেয়নি ৷ উপরোন্তু পরপর দু’দিন তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায় ৷ গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে হাজির হয়ে ইডি প্রথমে তল্লাশি চালায় ৷ তার পর তাঁকে গ্রেফতার করে ৷
যদিও আপের দাবি, এই গ্রেফতারি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল ৷ বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়াতেই গ্রেফতার করা হয়েছে কেজরিওয়ালকে ৷ অন্যদিকে, ইডির দায়ের করা চার্জশিটে একাধিকবার কেজরিওয়ালের নাম উল্লেখ করা হয়েছে । ইডি অভিযোগ করেছে, অভিযুক্তরা আবগারি নীতি তৈরি করতে কেজরিওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ৷ এর ফলে তাদের অযাচিত সুবিধা হয়েছিল । বিনিময়ে তাঁরা আপকে ঘুষ দেন ।
আরও পড়ুন: