শিলিগুড়ি, 19 এপ্রিল: সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ ৷ রাজ্যে উত্তরের তিন আসনে ভোট গ্রহণ চলছে ৷ আর সেই ভোটেই সেনাপতির ভূমিকায় দেখা গেল শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে এদিন কার্যত নজরদারি করতে দেখা গেল তাঁকে ৷ ওই বিধানসভা এলাকায় এদিন ভোটে মনিটরিং করলেন গৌতম দেব।
জানা গিয়েছে, 23 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার লক্ষ্মী পালের বাড়িতে খোলা হয়েছে ভোটের কন্ট্রোল রুম। আর সেখান থেকেই ওই বিধানসভার সমস্ত বুথে নজরদারি চালান গৌতম দেবকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে ওই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিখা চট্টোপাধ্য়ায়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন গৌতম দেব। কিন্তু পৌর নির্বাচনে বর্ধিত ওয়ার্ডগুলিতে ফের নিজের জমি ফেরাতে সক্ষম হয়েছিল তৃণমূল। আর এদিন কন্ট্রোল রুমে বসে গোটা বিধানসভার ভোটে নজরদারি চালালেন তিনি।
উত্তরবঙ্গ সাধারণত বিজেপির গড় হিসাবেই পরিচিত ৷ গত 2019 সালে লোকসভা ভোটের পর থেকেই এই জেলাগুলিতে জমি শক্ত করেছে গেরুয়া শিবির ৷ 21-এর বিধানসভা ভোটেও ভালো ফল করেছিল বিজেপি ৷ এবার ভোটের আগে কার্যত চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন গৌতম দেব ৷ এই ভোটে হয় জিতবেন, না হলে রাজনীতি ছাড়বেন; এমন মন্তব্য শোনা গিয়েছিল গৌতম দেবের গলায় ৷ এদিন গৌতম দেব বলেন, "বেশ কয়েক জায়গায় ইভিএম খারাপ হওয়ার অভিযোগ ছিল। সেগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।" কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়ে গৌতম দেব বলেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট ধীরে করে দিচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছি। তবে আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে বদ্ধ পরিকর।"
এছাড়াও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্য়ায়কেও একহাত নিয়েছেন গৌতম দেব। গৌতম দেব বলেন, "সারা বছর ওই বিধায়িকা আর সাংসদকে দেখা যায়নি। মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে ওনার ৷ এখন লোক না থাকলে কী আমরা লোক ভাড়া দেব ? সারা বছর থাকবে না আর ভোটের সময় আসলে কী মানুষ পাওয়া যাবে ?"
আরও পড়ুন: