কলকাতা, 20 জানুয়ারি: সামনেই লোকসভা নির্বাচন ৷ ফলে গত বিধানসভা নির্বাচন এবং কয়েক মাস আগে হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোটের আগে প্রস্তুতিতে কোনও রকম ফাঁক রাখতে চায় না জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাই দফায় দফায় জেলা শাসক এবং জেলা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কখনও অনলাইনে আবার কখনও চলছে মুখোমুখি বৈঠক।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে সারা রাজ্য জুড়ে বুথের সংখ্যা প্রায় 80 হাজার 403টি। আর এত সংখ্যক বড় কেন্দ্রকে ভালোভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজন প্রায় 3 লাখ 95 হাজার 934 জন ভোটকর্মী। মোট ভোট কর্মীদের মধ্যে মহিলা ভোট কর্মীর সংখ্যা হল প্রায় 1 লাখ 54 হাজার 374 জন। কমিশনের পোর্টালে ইতিমধ্যেই সবার নাম-সহ তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই তালিকা থেকেই বেছে বেছে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে। চূড়ান্ত তালিকায় যাঁদের নাম থাকবে শুধুমাত্র তাঁরাই ভোট কর্মী হিসেবে নিযুক্ত হবেন নির্বাচনের কাজে।
নিয়ম অনুসারে প্রত্যেক বিধানসভা পিছু ন্যূনতম একটি করে বুথ মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। সেই অনুপাতে পশ্চিমবঙ্গে দশ শতাংশের কাছাকাছি বুথ এবার মহিলারা পরিচালনা করবেন। তেমনটাই এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। তবে গ্রামীণ এলাকায় মহিলা পরিচালিত বুথ থাকবে না। শুধুমাত্র শহরাঞ্চল বা মফস্বলে মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত বুথ থাকবে।
অন্যদিকে এক মহকুমার পুরুষ ভোট কর্মীদের অন্য মহকুমায় ভোট কর্মী হয়ে যেতে হবে। তবে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। তাঁরা যেই মহকুমায় বাসিন্দা সেই মহকুমাতেই ভোট কর্মী হিসেবে কাজ করতে পারবেন। মহিলা ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই নিয়ম করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের 83তম ধারা অনুসারে পাঁচ বছর পর আবারও আসতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। যদিও জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়নি। তবে সাধারণত মে কিংবা এপ্রিল মাসে হতে পারে নির্বাচন। যদিও সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো তাঁদের রণকৌশল তৈরি করা শুরু করে দিয়েছে ৷ শুরু হয়ে গিয়েছে ফিল্ড ওয়ার্কও।
আরও পড়ুন:
1. রামভক্তদের সম্মান করি, রাজনীতি করা ব্যক্তিদের নই; শুভেন্দুকে নিশানা ফিরহাদের
2. হনুমান পুজোয় আসা লকেটকে দেখে 'চোর' ও 'জয় বাংলা' স্লোগান তৃণমূল কর্মীদের
3. প্রসন্ন রায়ের আরও কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, দাবি ইডির